নেশার টাকা জোগাড় করতেই ৫০ লাখ টাকার ঘড়ি ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করে চোরচক্র। রাজধানীর বারিধারায় গেল ৯ জুন গ্রিলকেটে চুরির পর এমন জলের দামে ঘড়ি বিক্রি করে দেয় চোর। থানায় মামলা দায়েরের পর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
বারিধারার পার্ক রোডের অভিজাত এক ফ্ল্যাটে ৯ জুন ভোরে গ্রিল কেটে ঘটে চুরির ঘটনা।
নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, চুরি করার সময় বাড়ির মালিক টের পেলে পাশের খালি জায়গা দিয়ে পালিয়ে যায় চোর। নিয়ে যায় কোটি টাকা দামের একটি ঘড়িসহ মোট পাঁচটি ঘড়ি এবং দুইটি সেলফোন। সব মিলিয়ে খোয়া যায় দেড়কোটি টাকার মালামাল।
ঘটনার পর ২৩ জুন গুলশান থানায় মামলা দায়ের হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করে পুলিশ। তবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না তার পরিচয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে চোরের বোনকে আটক করা হয়। বোনের দেয়া তথ্যে দক্ষিণখান থেকে আটক হয় অভিযুক্ত মিজান। এরপর তার দেয়া তথ্যে মতে আটক হয় আরও দুইজন। উদ্ধার হয় তিনটি ঘড়ি, ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ লাখ ৩ হাজার টাকা। তবে পাওয়া যায়নি ২টি ঘড়ি। যার মধ্যে একটি ঘড়িতে সোনা থাকায় সেটি ১ লাখ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। আর নেশার টাকা জোগাড় করতে ৫০ লাখ টাকার ঘড়ি বিক্রি করে দেয়া মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রধান আসামি মিজান নেশা করার জন্য চুরি করে। তার যে সিন্ডিকেট তার সঙ্গেই নেশা করে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মাদকাসক্ত যুবকরা ছিঁচকে ছিনতাই ডাকাতির বদলে এ ধরণের অপরাধ বেশি করছে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো অপরাধীই অপরাধ করে পার পাবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গ্রেফতার মিজানের বিরুদ্ধে এর আগেও চুরির মামলা রয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতেও অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।