মোহাম্মদ আল আমিন : ক্রিকেট বিশ্বে আলোচিত ঘটনার শেষ নেই। কেউ কেউ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে সামালোচিত হন, আবার কেউবা ক্যারিয়ার নষ্ট করেন বল টেম্পারিংয়ে জড়িয়ে। ঠিক এমনই একটি অনৈতিকতায় জড়িয়ে ক্যারিয়ার ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ও বর্তমান সময়ের সেরা টেস্ট খেলুড়ে স্টিভেন স্মিথ।
ইংল্যান্ডের মাটিতে গত ১৮ বছর যে অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজ জিততে ব্যর্থ ছিলো, সেই অস্ট্রেলিয়াকে স্টিভ স্মিথ ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২০১৯ অ্যাশেজ সিরিজ জেতান। তার কাঁধে ভর করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়া জয় করেছে অ্যাশেজ শিরোপা।
৩ ম্যাচে ৫ ইনিংসে তিনটি শতক ও দুইটি অর্ধশতকে মোট রান করেন ৬৭১। তাই এবার অ্যাশেজের মহানায়কও তিনি। অথচ বছর খানেক আগেও তার ক্যারিয়ার পড়েছিলো পদ্ম পাতার জল। ক্রিকেট বিশ্ব থেকে অল্পের জন্য হারিয়ে যাচ্ছিলেন স্মিথ।
তিন বছর আগেও তার ব্যাটিং পারফর্মেন্স যেমন ছিলো এখনও তেমনই আছে। ব্যাটিং পারফর্মেন্সে পরিবর্তন না চাইলেও খেলার মাঠে তার ব্যাক্তিগত আচরণের পরিবর্তন অবশ্যই চাইবে ক্রিকেট ভক্তরা।
২০০৯ সালে স্মিথ টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেন লেগস্পিনার হিসাবে। দলের হয়ে ব্যাট করতে নামতেন ৮ নম্বরে। পরে অবশ্য স্মিথের খেলায় পরিবর্তন দেখা যায়। একসময়ে বোলার হিসেবে বিবেচিত হওয়া সিম্থই ধীরে ধীরে দাপুটে ব্যাটসম্যানে রুপান্তরিত হয়। পাঁচ বছর পেরোতে না পেরোতেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হয়ে যায় স্মিথ। ততদিনে স্মিথ হয়ে যান বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন।
তবে স্মিথকে টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও দেখা হয়। কারণ টেস্টে স্মিথের ব্যাট যেন কথা বলে বেশি। ২০১৪ সালে ঘরোয়া সিরিজে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়েই স্টিভ স্মিথকে অধিনায়ক ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড। আর সেই সাথেই তিনি হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার ৪৫ তম টেস্ট অধিনায়ক।
স্মিথকে ক্লার্কের উত্তরসূরিও বলে থাকেন অনেকে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি শিকারি বোলারদের তালিকাতেও নাম রয়েছে স্মিথের। তার অদ্ভুত ফিজিং লেগ-ব্রেক প্রয়োজনের সময় কাজে লাগানো হয়।
২০১৮ সালের মার্চ মাস। স্মিথের জীবনে নেমে আসে একটি কালো দিন। নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন কেলেংকারিতে। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট চলাকালীন নিউল্যান্ডসে বল টেম্পারিংয়ে জড়িত থাকায় অস্ট্রেলিয়া বোর্ড তাকে ক্রিকেট থেকে ১২ মাসের জন্য বরখাস্ত করে। তবে একবছর পর তিনি আবার ফিরে পান সবুজ খেলার মাঠ। অনৈতিকতার কারণে ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে যাওয়া স্মিথের কাছে এখন ভক্তদের একটাই চাওয়া ও প্রশ্ন, ভবিষ্যতে স্মিথ তার নৈতিকতা ধরে রাখতে পারবেন তো?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।