নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুরের কাসেম বাজারে বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, নেয়াজপুর কাসেম বাজার জামে মসজিদে ছাত্রশিবিরের আয়োজিত কুরআন শিক্ষা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
একপক্ষের অভিযোগ, শনিবারের কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে রবিবার আসরের নামাজের পর পুনরায় কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রশিবির। এসময় মসজিদে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘটনাস্থলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন নোয়াখালী শহর শিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, ছালাউদ্দিন, এবং কেরামতিয়া মাদরাসার ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত আলীসহ অন্তত ১৬ জন গুরুতর আহত।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতাদের দাবি, শিবির কর্মীরা মসজিদের ভেতরে স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করলে তারা বাধা দেন, এতে শিবিরের কর্মীরা হামলা চালায়। সংঘর্ষে বিএনপির ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. আক্তার, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ ৮ জনকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সময় পুলিশের একাধিক ইউনিট জেলা শহর থেকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় মসজিদের ভেতরে আটকে পড়া শিবির কর্মীদের সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উদ্ধার করে নিরাপদে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।