জুমবাংলা ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নির্যাতনের শিকার সেই নারীর ঘর থেকে জামা-কাপড়, বালিশ, বিছনার চাদরসহ মামলার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রবিবার (১১ অক্টোবর) সকালে পিবিআই কর্মকর্তাগণ জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নির্যাতিতা নারীর বসত ঘর থেকে এসব আলামত সংগ্রহ করে।
এ সময় বাড়ির পাশের খালে এবং পুকুরে আরো কিছু আলামত উদ্ধারের জন্য জাল ফেলে ও ডুবুরি নামিয়ে খোঁজাখুজি করে। পরে স্থানীয় লোকজনকে স্বাক্ষী করে আলামতগুলোর জব্দ তালিকা প্রস্তুতের পর জেলা পিবিআই কার্যায়ে নিয়ে যায়। এ সময় এ ঘটনায় নির্যাতিত নারীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারি উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলা দুটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখ ঘরে ঢুকে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। একই সঙ্গে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেন অভিযুক্ত করা। পরে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ৪ অক্টোবর নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং অপরটি পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে। মামলা দুটির প্রত্যেকটিতে ৯জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৭-৮জনকে আসামী করা হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৬জনসহ মোট ১১জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে ৫ জন। ইতোমধ্যে ৫ আসামী ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আজা দুপুরে মামলার প্রধান আসামী বাদল, ৫নং আসামী সাজু ও ৯নং আসাসী রহমত উল্যাকে আদালতে তোলা হয়। তাদের মধ্যে প্রধান আসামী বাদল ও ৫নং আসামী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।