সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে চলছে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন একাধিক সতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থী।
এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলছেন, আমরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কোন নোটিশ ছাড়াই আমাদের বৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের অনেক কর্মীদের দলীয় প্রতীকের সাথে কাজ করার জন্য জোরপূর্বক চাপ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার ৩ নং শিবালয় মডেল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: মোহসীন রাজু বলেন, শিবালয়ে সাধারণ জনগণ আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন। জনগণের ভালোবাসা আর দাবির মুখে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে। গতকাল থেকে আমার বৈধ ব্যবসা, যেটা দিয়ে আমি আমার পরিবারের দেখাশুনা করি সেই স্পিডবোট বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ করার পর আমি কারণ জানতে চাইলে কেউ কিছু বলেননি। তাই আমি স্পিডবোট মালিক সমিতি বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি এবং তার অনুলিপি বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা শাখার উপ-পরিচালককে (বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা) দিয়েছি।
একই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ও আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম বলেন, আমার স্পীডবোটের সব কাগজ বৈধ। স্পীডবোট মালিক সমিতির লোকজন কোন নোটিশ ছাড়াই আমার বোট বন্ধ করে দিয়েছেন। জানিনা কেন বন্ধ করেছেন।
আরিচা স্পিডবোটের পরিচালক নজরুল ইসলাম বাবু জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস দুইটি স্পীডবোট চলাচল বন্ধ করে দিতে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। কি কারণে বন্ধ করতে বলেছেন আমি সেটা জানিনা। এ বিষয়ে আপনি বিস্তারিত জানতে হলে আব্দুল কুদ্দুস সাহেবের সাথে কথা বলুন।
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্পীডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল কুদ্দুস বলেন, স্পীডবোট দুইটির মনে হয় বৈধ কাগজপত্র নেই। দেখি আমি নজরুলের সাথে কথা বলে জানাবো। তবে তাদের স্পীডবোট দুইটি সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্পীডবোট মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহিম খান বলেন, আমি স্পীডবোট মালিক সমিতির সভাপতি এটা ঠিক আছে। আমি জানিনা কেন এটা বন্ধ করা হয়েছে। মোহসিনের বোটের বৈধ কাগজ পত্র আছে। যারা বন্ধ করেছে তাদের বোট চলাচল বন্ধ করার কোনো এখতিয়ার নেই। তারা কাজটা ঠিক করেনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা শাখার উপ-পরিচালক শাহ আলম বলেন, দুইটি স্পীডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বোট দুইটির মালিকের বৈধ কাগজ পত্র রয়েছে। তাদের স্পীডবোট বন্ধ করে দেওয়াটা ঠিক হয়নি। আমি মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকে বোট দুইটি যাতে চলাচল করতে পারে সে বিষয়ে কথা বলবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।