জুমবাংলা ডেস্ক: সিরাজগঞ্জে শিক্ষা সফরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও মসজিদের ইমামের ডিজে গানের সঙ্গে উদ্যম নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উচ্চস্বরে ডিজে গানের সঙ্গে শিক্ষকদের এমন নাচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে তুমুল আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়।
জানা যায়, ৯ আগস্ট উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর ইউপির এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রায় আড়াইশ’জন পাঁচটি নৌকায় শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাচারি বাড়ী ও পাবনার বেড়ার পাওয়ার প্লান্টে যান। এ সময় নৌকায় সাউন্ড বক্সে ডিজে গান বাজিয়ে উদ্যম নাচে মেতে ওঠেন প্রধান শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অন্যরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম, সভাপতি আউয়াল সরকার এবং এলংজানী দাখিল মাদরাসার দপ্তরী ও কায়েমকোলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম নৌকার ওপর সাউন্ড বক্সে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে উদ্যম নাচে মেতে উঠেছেন। পরে নাচে যোগ দেন বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি আব্দুল আল মামুন, সহকারী শিক্ষক শাহাজাহান এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম। এ ঘটনার পর শিক্ষক-অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গোনাইগাঁতী গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, শিক্ষা সফরের নামে ডিজে গানের সঙ্গে শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও সভাপতির এমন উদ্যম নাচ কোনো সভ্য সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না। এতে বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক একদিকে যেমন শালীনতা লঙ্ঘন করেছেন। অপরদিকে একটি মাদরাসার দপ্তরী ও মসজিদের ইমাম হয়ে নাচে অংশগ্রহণ সবাইকে অবাক করেছে।
প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম বলেন, শিক্ষা সফরে গেলে তো একটু আনন্দ হবেই। তবে একটি মহল আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য ভিডিও করে তা ফেসবুকে ভাইরাল করেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামসুল হক বলেন, এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা সফরে যাওয়ার আগে আমাদের কারো কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজে গানের সঙ্গে উদ্যম নৃত্য আমিও দেখেছি। তাদের এভাবে নাচানাচি করা ঠিক হয়নি। পরবর্তীতে যেন এমন না হয় এব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করা হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি আউয়াল সরকার, এলংজানী দাখিল মাদরাসার দপ্তরী ও কায়েমকোলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম ও উল্লাপাড়া ইউএনও’র সঙ্গে কথা বলার জন্য মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।