নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজেদের নেওয়া তিনটি কৌশলের কারণে ন্যাশনাল ব্যাংকে শিগগিরই নগদ অর্থের সংকট কাটবে, এমন আশা প্রকাশ করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
সোমবার বিকালে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংকট কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতার পাশাপাশি আমরা তিনটি কৌশল গ্রহণ করেছি। আমরা ঋণ আদায়ে কঠোর হওয়ায় খেলাপি ও অনিয়মিত গ্রাহকরা ব্যাংকে টাকা ফেরত দিচ্ছে। এছাড়া ‘রাইট অফ’ ঋণ আদায়ে রিকভারি টিম তৈরি করে কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি আমানত সংগ্রহের জন্য আমাদের শাখা ব্যবস্থাপকগণ কাজ করছেন।’
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মাঝে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে আবদুল আউয়াল মিন্টু এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেমিট্যান্স ফেয়ারে দেশের প্রথম প্রজন্মের এই ব্যাংকটি ‘শীর্ষ রেমিট্যান্স ব্যাংক গ্রহীতা ২০২৪’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান কিংবা ব্যবস্থাপনা পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এই পুরস্কার গ্রহণের সুযোগ পাননি। তাই রেমিট্যান্স ফেয়ারের আয়োজক সংস্থা বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান রায়হানুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এসে চেয়ারম্যানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
এসময় ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. তৌহিদুল আলম খান সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে রেমিট্যান্স গ্রহণের পথিকৃত হিসেবে ন্যাশনাল ব্যাংক ১৯৯৪ সালে প্রথম ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আনার কার্যক্রম শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ব্যাংকটি দেশের শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংকে পরিণত হয়। কিন্তু নানা অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দুর্বলতার কারণে রেমিট্যান্স আহরণে একসময় ব্যাংকটি পিছিয়ে যায়। যে কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণে দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২১তম অবস্থানে যায় ব্যাংকটি। কিন্তু গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ অবস্থানে এসেছে ন্যাশনাল। এই সময়ে ব্যাংকটির মাধ্যমে ৯০৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। পাশাপাশি, চলতি বছরের প্রথমার্ধে প্রবাসী আয় আহরণে ন্যাশনাল ব্যাংকের অবস্থান চতুর্থ।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়িয়ে আবার শক্তিশালীরূপে আভির্ভূত হবে। কারণ, এখানে আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। গ্রাহক সন্তুষ্টি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং নিবেদিত কর্মীবাহিনীকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা রেমিট্যান্স সেবায় শীর্ষস্থান অর্জন করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।