জুমবাংলা ডেস্ক : আইটেসারেক্ট টেকনোলজির উদ্যোগে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত (এসটিইএএম) বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী ও উদ্ভাবনী প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য এই জমকালো অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা. দীপু মনি।
এতে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাসুদ কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)-এর প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, এডিএন গ্রুপের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল এবং প্রাইম ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও হাসান ও রশিদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ও বুয়েটের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল ও ই-জেনারেশন পিএলসির চেয়ারম্যান শামিম আহসান।
সকাল ৯ টা থেকে কুইজ এবং প্রজেক্ট প্রদর্শনী শুরু হয় এবং দুপুর ১২টা থেকে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। সারাদেশ থেকে শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ তরুণদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটানোর জন্য একটি অসাধারণ আয়োজন। উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতা প্রতিবছর আয়োজন করা হবে।
এ অলিম্পিয়াডে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা মোট আটটি বিভাগে কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন। সারা দেশে ৩১০টি স্কুল, ৬১টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩২টি কলেজ, ২২টি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান এবং ২৫টি মাদ্রাসা থেকে কুইজ এবং প্রোজেক্টে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৯৭৬ জন। কুইজ নিবন্ধন সংখ্যা ছিল ৫৫ হাজার ৭৪৯। প্রোজেক্টের জন্য নিবন্ধন সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২২৭ এবং ৫৩ জন মেন্টর এবং বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন।
এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩০টি ক্লাব, ২৯০ জন ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং ৪ হাজার ৭০২ জন ভলান্টিয়ার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এ অলিম্পিয়াডে যুক্ত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দক্ষতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিত করাই ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। পাঁচটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়েছে।
এর মধ্যে আছে তরুণদের মধ্যে স্টিম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস, ম্যাথম্যাটিকস) সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষ জাতি গঠনে সহায়তা করা। কলকারখানা ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগানোর মাধ্যমে ব্যাপক উন্নতি সাধনে তরুণদের উপযোগী করে তোলা। স্টিম সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা, সমস্যা সমাধান, উদ্ভাবন ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা। শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখতে অনুপ্রেরণা দেয়া। শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি মানবিক ও দায়িত্বশীল হতে সহায়তা করাও এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।