জুমবাংলা ডেস্ক: পঞ্চগড়ের বোদার করতোয়া নদীর আওলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবিতে ৬৯ জনের মৃত্যু মিছিলে ছিলেন প্রদীপ চন্দ্র (৩৫)। তিনি একই উপজেলার শিংপাড়া গ্রামে মনিরাম চন্দ্রের ছেলে। দুর্ঘটনার একদিন পর (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সাত ও ছয় বছরের দুই ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতেন দিনমজুরি করে। ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই নেই প্রদীপের। নৌকাডুবিতে প্রদীপের নিহতের ঘটনায় পরিবারের যেন প্রদীপ নিভে যায়। অন্ধকার নেমে আসে দুই শিশু জীবনে। দিশেহারা স্ত্রী চন্দনা রানী।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অনুদানের পাশাপাশি এগিয়ে আসে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। চন্দনার হাতে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নগদ তিন লাখ টাকা ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর একটি প্যাকেট তুলে দেন জেলা প্রশাসক। এ সময় চন্দনা রানী চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেন, টাকা আমার কী কাজে আসবে জানি না। তবে সবাই আশীর্বাদ করবেন, ছেলে দুইটাকে যেন মানুষ করতে পারি।
করতোয়ার আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নয়টি অতিদরিদ্র পরিবারকে মোট ১৫ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। দরিদ্রতা বিবেচনায় এসব পরিবারকে সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম নিহতদের স্বজনের হাতে এই টাকা তুলে দেন। এছাড়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর একটি করে প্যাকেট প্রদান করা হয়।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন নৌকাডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আওলিয়ার ঘাটের ১৪ জন মাঝিকে ১৪টি লাইফ জ্যাকেট প্রদান করেন। ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্য, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক জামিল চৌধুরী ডলার, সাবেক সভাপতি এ রহমান মুকুল ও সফিকুল আলমসহ বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।