Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home পদার্থবিজ্ঞানে চার্ম কোয়ার্কের রহস্য!
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    পদার্থবিজ্ঞানে চার্ম কোয়ার্কের রহস্য!

    Yousuf ParvezAugust 9, 20245 Mins Read
    Advertisement

    ১৯৬০-এর দশকের প্রথম দিকে মারে গেল-মান তাঁর অষ্টাঙ্গিক পন্থা অবলম্বন করে প্রোটন ও নিউট্রনের অভ্যন্তরে কোয়ার্ক নামের ভগ্নাংশ তড়িৎ আধানের মৌলিক কণার ভাবীকথন করেছিলেন। তাঁর পদ্ধতি আপ (u, ওপর), ডাউন (d, নিচ) এবং স্ট্রেঞ্জ (s, অদ্ভুত) কোয়ার্কের অস্তিত্ব নির্দেশ করে।

    চার্ম কোয়ার্ক

    এর আগে আমরা বিজ্ঞানচিন্তায় মারে-গেলমানের এই পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছিলাম। ছবি ১-এ সেই অষ্টাঙ্গিক পন্থা বর্ণিত হয়েছে। মোট তিনটি অক্ষ দিয়ে কিছু কণার বৈশিষ্ট্য দেখানো হয়েছে। এই অক্ষগুলো হলো I3 (আইসোস্পিন), S (স্ট্রেঞ্জনেস, strangeness) এবং Q (তড়িৎ আধান)। যেমন প্রোটন দুটি u এবং একটি d কোয়ার্কের সমষ্টি, সেটির স্ট্রেঞ্জনেস হলো ০, আইসোস্পিন হলো ১/২ এবং তড়িৎ আধান +১। অন্যদিকে Ξ– (যাই বা যি) কণার স্ট্রেঞ্জনেস হলো ২, আইসোস্পিন -১/২ ও তড়িৎ আধান -১।

    আইসোস্পিনের ব্যাপারটা অনেকটা ইলেকট্রন স্পিনের মতোই, ইলেকট্রনের যেমন +১/২ ও -১/২ স্পিন থাকতে পারে, বিজ্ঞানীরা ধারণা করলেন প্রোটন ও নিউট্রন একটি কণারই দুটি আইসোস্পিন রূপ। কণার আইসোস্পিন +১/২ হলে প্রোটন ও -১/২ হলে সেটি হবে নিউট্রন। আর স্ট্রেঞ্জনেস হলো স্পিনের মতোই কণাগুলোর একটি অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য। যদি কোনো কণা প্রোটনে রূপান্তরিত হয়, তবে তার স্ট্রেঞ্জনেস হবে -১, অ্যান্টি বা প্রতিপ্রোটনে রূপান্তরিত হলে তার স্ট্রেঞ্জনেস হবে +১। কোনো স্ট্রেঞ্জ কণা অন্য একটি স্ট্রেঞ্জ কণায় রূপান্তরিত হতে বেশি সময় (~১০-১০ সেকেন্ড) নিলে তার স্ট্রেঞ্জনেস হবে বেশি, যেমন -২, আর কম সময় (~১০-২৪ সেকেন্ড) নিলে তার স্ট্রেঞ্জনেস হবে -১।

    আমরা এখন জানি, সবল মিথস্ক্রিয়ায় কণাগুলোর স্ট্রেঞ্জনেস নম্বর সংরক্ষিত হয়, দুর্বল মিথস্ক্রিয়ায় হয় না। ছবি ১-এ দুটি কণার, Σ০ (সিগমা) ও Λ-র (লামডা) স্ট্রেঞ্জনেস ১, আইসোস্পিন ০ ও তড়িৎ আধান হলো ০; তারা স্থান পেয়েছে ষড়ভুজের কেন্দ্রে। চিত্রটি নিশ্চয়ই প্রকৃতির মধ্যে কোনো গভীর প্রতিসাম্য নির্দেশ করে, কিন্তু এর অর্থ উদ্ধার করতে গেল-মানের একটু সময় লাগল। কারণ, কোয়ার্কের বাস্তব অস্তিত্বের কথা তখনো জানা ছিল না। ঊনবিংশ শতাব্দীতে নরওয়ের গণিতবিদ সোফাস লি এমন একটি গ্রুপ তত্ত্ব সৃষ্টি করেছিলেন, যেখানে Special Unitary SU(3) নামে একটি গ্রুপ পাওয়া যায়। SU(3) দিয়ে গেল-মান তাঁর অষ্টাঙ্গিক পথের রহস্য উদ্‌ঘাটন করলেন।

    SU(3) তত্ত্বে ত্রিভুজ একটি মৌলিক গ্রুপ। গেল-মান ভাবলেন, এ ধরনের ত্রিভুজ পাওয়া যাবে, যদি আমরা কোয়ার্ক নামের একধরনের কণা চিন্তা করি, যেগুলোর তড়িৎ আধান পূর্ণ সংখ্যা নয়। তিনি তিন ধরনের কোয়ার্কের কথা চিন্তা করলেন—আপ (u), ডাউন (d) ও স্ট্রেঞ্জ (s)। এগুলোর তড়িৎ আধান হবে যথাক্রমে +২/৩, -১/৩ ও -১/৩ এবং অন্যদিকে আইসোস্পিন সংখ্যা হবে +১/২, -১/২ ও ০। ২ নম্বর ছবিতে এই ত্রিভুজ গ্রুপ দেখানো হলো।

    এই মৌলিক গ্রুপটি ব্যবহার করে খুব সহজেই অষ্টাঙ্গিক পথের চিত্র ১-এর ষড়ভুজটি গঠন করা সম্ভব। মারে গেল-মান এই পদ্ধতি ব্যবহার করে W- নামে কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত একটি নতুন অনাবিষ্কৃত কণার ভাবীকথন করলেন। কণা ত্বরক যন্ত্রে সেটি আবিষ্কারের পর ১৯৬৯ সালে তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

    ১৯৬০-এর দশকের শেষে স্ট্যানফোর্ড লিনিয়ার অ্যাক্সিলারেটর সেন্টার (এসএলএসি) কণা ত্বরক যন্ত্রে পদার্থবিদেরা প্রোটনের ওপর উচ্চশক্তির ইলেকট্রন আঘাতের একটি পরীক্ষা করছিলেন। তাঁরা দেখলেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইলেকট্রনগুলো প্রোটনকে আঘাতের পরে সূক্ষ্ম কোণ করে বিচ্ছুরিত হচ্ছে, অর্থাৎ প্রায় উল্টো দিকে ফিরে আসছে। বিজ্ঞানীরা তত দিনে জানতেন, প্রোটনের ব্যাসার্ধ ১০-১৫ মিটারের মতো।

    যদি প্রোটনের সব ভর সমানভাবে ১০-১৫ মিটারে ছড়ানো থাকত, তাহলে এ ধরনের বিচ্ছুরণ পাওয়ার কথা নয়। কারণ, ইলেকট্রনকে একেবারে উল্টো দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট ভর আঘাতের বিন্দুগুলো থাকত না। এটা তখনই সম্ভব, যদি প্রোটনের তড়িৎ আধান সমানভাবে ছড়ানো না থেকে কয়েকটি জায়গায় ঘনীভূত থাকে।  ইলেকট্রন প্রোটনের সঙ্গে বিদ্যুৎ–চৌম্বকীয়ভাবে বিক্রিয়া করে অলীক বা ভাচ্যুয়াল (Virtual) ফোটনের আদান-প্রদানের মাধ্যমে। তাত্ত্বিক গণনায় পাওয়া গেল, এই ফোটনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০-১৬ মিটার, অর্থাৎ প্রোটনের ব্যাসার্ধের এক–দশমাংশ (১/১০)।

    এর মানে হলো ইলেকট্রন যখন প্রোটনকে আঘাত করছে, তখন সেই আঘাতের অংশটা ১০-১৬ মিটারের মতো, অর্থাৎ প্রোটনের খুব অল্প অংশের সঙ্গে ইলেকট্রন বিক্রিয়া করছে। ওই ছোট অংশে প্রোটনের ভরের একটা বড় অংশ ঘনীভূত আছে। কারণ, সেই ভরের সংঘাতে ইলেকট্রন প্রায় সোজাসুজি ফিরে আসছে, অল্প ভরের সঙ্গে আঘাত করলে সোজাসুজি ফিরে আসার সম্ভাব্যতা কম থাকে। বিজ্ঞানীরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন, গেল-মান বর্ণিত কোয়ার্কের সঙ্গেই মনে হয় ইলেকট্রনগুলো আঘাত করছে।

    অর্থাৎ প্রোটন একক সমসত্ত্ব কোনো কণা নয়, বরং বিচ্ছিন্ন কোয়ার্ক কণা দিয়ে গঠিত। এভাবেই কোয়ার্কের বাস্তব অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো। এই পরীক্ষার জন্য এমআইটির জেরোম ফ্রিডম্যান ও হেনরি কেন্ডাল এবং এসএলএসির রিচার্ড টেইলার ১৯৯০ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। কণা ত্বরক যন্ত্রে এরপর আরও উচ্চশক্তির ইলেকট্রন দিয়ে প্রোটনকে আঘাত করা হয়েছে, যেখানে বিক্রিয়া-মধ্যস্থতাকারী ফোটনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য হলো ১০-১৮ মিটার। কিন্তু সেই সূক্ষ্মতায় কোয়ার্ক গঠনের মধ্যে আর কোনো উপগঠন পাওয়া যায়নি, অর্থাৎ ১০-১৮ মিটার পর্যন্ত দেখলে কোয়ার্কই হচ্ছে মৌলিক কণা।

    চার্ম কোয়ার্কের আবিষ্কারের মাধ্যমে যাকে এখন আমরা বলি কোয়ান্টাম ক্রোমোডাইনামিকস (কোয়ার্কের রং নির্ধারিত আধান থেকে নামটি এসেছে) ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করতে থাকল। J/Ψ কণা আবিষ্কারের কয়েক বছরের মধ্যেই তৃতীয় প্রজন্মের লেপটন τ (টাউ) এবং তৃতীয় প্রজন্মের কোয়ার্ক b (বটম) আবিষ্কৃত হলো। আর সবচেয়ে ভারী কণা তৃতীয় প্রজন্মের t (টপ) কোয়ার্ক পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হলো ১৯৯৪ পর্যন্ত।

    কণা ত্বরক যন্ত্রে এই ছয় কোয়ার্কের আবিষ্কার তাদের ভর অনুযায়ী হয়েছে, সময়ের সঙ্গে কণা ত্বরকের যত ক্ষমতা বেড়েছে, তত উচ্চভরের কোয়ার্কের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর আমরা এখন যে প্রমিত মডেল ব্যবহার করি, তার পূর্ণ রূপের জন্য ১৯৭০-এর দশকের গবেষণার কাছে আমরা ঋণী। এই লেখা শেষ করার আগে বলি, মহাবিশ্বের সব স্থিত (stable অর্থে) বস্তু u এবং d কোয়ার্ক দিয়ে তৈরি। অন্য দুটি প্রজন্মের s, c, b এবং t (টপ) কোয়ার্ক অস্থিত এবং সেগুলো উচ্চশক্তির প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়ে খুব দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়। কেন কোয়ার্কগুলো তিনটি প্রজন্মের রূপে আসে, সেটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো রহস্য হয়ে আছে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    কোয়ার্কের চার্ম চার্ম কোয়ার্ক পদার্থবিজ্ঞানে প্রযুক্তি বিজ্ঞান রহস্য
    Related Posts
    Keyboard

    কিবোর্ডে ‘এফ’ এবং ‘জে’ অক্ষরের নীচে ছোট ছোট উঁচু দাগ থাকে কেন?

    August 18, 2025
    Toruni

    এআই-এর সাহায্যে দু’মাসে ১০ কেজি ওজন কমালেন তরুণী!

    August 17, 2025
    Oppo A5

    Oppo A5 : বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে ‘আল্টিমেট ডিউরেবিলিটি চ্যাম্পিয়ন’

    August 17, 2025
    সর্বশেষ খবর
    best ai voice generator for youtube shorts

    Best AI Voice Generator for YouTube Shorts: Top Tools

    iOS 26 Energy-Saving Feature May Lower Utility Bills

    iOS 26 Energy-Saving Feature May Lower Utility Bills

    OLED MacBook Pro

    M5 MacBook Pro Serves as Stopgap Before Major 2026 M6 OLED Upgrade

    Parag Agrawal Launches AI Startup Parallel for Online Research Shift
(58 characters)

    Parag Agrawal Launches AI Startup Parallel for Online Research Shift

    Mu6 Technology Innovations

    Mu6 Technology Innovations:Leading the Global Digital Transformation Wave

    Weekend Box Office: Weapons Still No. 1

    Weekend Box Office: Weapons Still No. 1

    iPhone Back Tap: How to Use the Invisible Button Feature

    iPhone Back Tap: How to Use the Invisible Button Feature

    James Bond 007 Logo Designer Joe Caroff Dies at 103

    James Bond 007 Logo Designer Joe Caroff Dies at 103

    instagram vanish mode

    Instagram Vanish Mode: Ultimate Privacy Guide for 2024

    Google

    Google’s ShinyHunters Breach Exposes Supply Chain Weakness: What Businesses Must Do Now

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.