জুমবাংলা ডেস্ক : কলকাতার চিকিৎসা খাতেও পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ কথা স্বীকার করলেন সিটি অব জয়ের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসকরা। সেতুর চালু হলে মুমূর্ষু রোগীরা এক যানবাহনেই সীমান্তে পৌঁছনোর সুযোগ পাবেন। ফলে বাংলাদেশি রোগীরা স্বস্তিতে সেবা নিতে পারবেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেকেরই ঠিকানা এখন কলকাতার হাসপাতাল পল্লি মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতাল। প্রায় দুই দশক ধরে চলা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালের মোট মাসিক আয় ৩৫ থেকে ৪০ কোটি রুপি। এর মধ্যে বাংলাদেশি রোগীদের কাছ থেকে আসে ৫ থেকে ৭ কোটি রুপি।
পদ্মা সেতু চালু হলে সেই ব্যবসা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যাও বাড়বে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। তাই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের খবরে খুশি কলকাতার চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে কলকাতার মুকুন্দপুরের দেবী শিঠি হাসপাতালের নেফ্রলজি বিভাগের চিকিৎসক প্রতীক দাস বলেন, পদ্মা সেতু হলে রোগীদের অবশ্যই অনেক সুবিধা হবে। বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে আসা অনেক কষ্টকর। বিশেষ করে যারা গুরুতর অসুস্থ, তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া আনাই সম্ভব হচ্ছিল না। তাদের ক্ষেত্রে তো অবশ্যই বিরাট সুবিধা হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটি খুব মসৃণভাবে হবে উল্লেখ করে কলকাতার মুকুন্দপুর দেবী শেঠি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, কোনো মানুষ, কোনো জায়গায়, কোনো স্তরে বাধাপ্রাপ্ত হবেন না। সুতরাং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের মানুষ বিভিন্ন স্তরে বিভিন্নভাবে এ সেবা পাবেন।
যানবাহন ও সীমান্তের চরম দুর্ভোগের মধ্যে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসা বাংলাদেশি রোগীরাও পদ্মা সেতু খোলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তারা বলেন, এখানে আসতে অনেক সময় ব্যয় হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে আরও অনেক কম সময়ে এখানে আসতে পারব।
উল্লেখ্য, কলকাতার মুকুন্দপুর এলাকায় পশ্চিমবঙ্গের নাম করা ৭ থেকে ৮টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।