জুমবাংলা ডেস্ক : অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের খবরে খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র এই মেয়র প্রার্থী। দলীয় এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এটি দলের সময়োচিত সিদ্ধান্ত। তার বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় জমালে সেখানেও একই রকম প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন তিনি। অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি হয়েছি এ খবরে। তারেক রহমান সাহেবকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। কারণ, আমি জনতার ও রিকশাওয়ালাগো তৈমুর ছিলাম, রিকশাওয়ালাগো তৈমুর হয়া গেলাম। ঠেলাগাড়িওয়ালাগো ছিলাম।’
গতকাল সোমবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে জানা যায়, তৈমুর আলম খন্দকারকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি মনে করি- ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আমাকে জনগণের জন্য মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি রিকশাওয়ালাদের তৈমুর, রিকশাওয়ালাদের কাছে ফিরে যাব। আমি ঠেলাগাড়িওয়ালাদের তৈমুর, আমি ঠেলাগাড়িওয়ালাদের কাছে ফিরে যাব। আমি গণমানুষের তৈমুর, আমি গণমানুষের কাছে ফিরে যাব।
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে তৈমুর আলমের মন্তব্য, বসবো ক্যান। এবার তো দল বাঁচাইয়া দিসে। গতবার একটা প্রার্থীর পথ সুগম করে দিয়েছিল। এবার যদি দল মনে করে, যে ওই প্রার্থীর পথ সুগম করে দিয়েছে, তাহলে এটা তাদের ভুল সিদ্ধান্ত হবে। দলের পদ প্রত্যাহারে নির্বাচনে কী প্রভাব পড়বে-এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রত্যাহারের ফলে আমার নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না। আমি নির্বাচন থেকে বসছি না। তিনি আরও বলেন, আগেরবার দলের কথায় বসেছি। এবার আর সেটি থাকছে না। আমাকে নির্বাচন করার পথ সুগম করে দিয়েছে দল। তবে বিএনপি এটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি জনগণের সঙ্গে আছি। পদের পর দলেও থাকতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তৈমুর আলম বলেন, এটা দল ভালো জানবে। রাখবে কি রাখবে না, এটা দল বলতে পারবে।
তিনি জানান, ২০১১ সালে দল নমিনেশন দিয়েছিল। সেবার দল সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমি নির্বাচন থেকে পাঁচ ঘণ্টা আগে সরে গেছি। আজ পর্যন্ত আমার দলকে প্রশ্ন করিনি কেন আমাকে সরিয়ে দেওয়া হলো, কেন প্রত্যাহার করা হলো। সেই নির্বাচনের ফলাফলে দল বা জাতি কোনো উপকৃত হয়েছে কিনা জানি না, তবে নৌকার প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়েছিল। অনেকে মনে করতে পারেন, নৌকার জন্য আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দল আমার উপকার করেছে। আমার রাজপথে জন্ম হয়েছিল, রাজপথেই মৃত্যু হবে। তবে আমি নির্বাচন করতে যে কোনো সেক্রিফাইস করতে প্রস্তুত আছি। ২০০১-এ দলের স্বার্থে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলাম। ২০২২-এ জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। পানি কাটলে ২ ভাগ হলেও কর্মীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ২ ভাগ হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।