আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) নভোচারী ডন পেটিট মহাকাশ থেকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও পবিত্র মসজিদ কাবা’র একটি ছবি তুলে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। তাঁর তোলা হাই রেজোল্যুশনের ছবিতে কাবা’কে একটি উজ্জ্বল আলোর মতো দ্যুতিময় দেখা যাচ্ছে। ছবিতে উজ্জল কাবা’র চারপাশ ঘিরে মাকড়শার জালের মতো অপেক্ষাকৃত কম উজ্জল আলোকমালাও দৃশ্যমান। পেটিট বলেছেন, এই আলোকামালা কাবার চারপাশের মরুভূমি থেকে আসা।

ডন পেটিট ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থিত আইএসএস-এর ‘কুপোলা উইন্ডো’ থেকে ছবিটি তুলেছিলেন। এই ছবি প্রমাণ করে যে পৃথিবী থেকে এত দূর থেকেও কাবা দৃশ্যমান।
সম্প্রতি ডন পেটিট তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে ছবিটি শেয়ার করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন: “মহাকাশ স্টেশনের অক্ষপথ থেকে তোলা সৌদি আরবের মক্কার ছবি। ছবির মাঝখানে সবচেয়ে উজ্জ্বল যে অংশটি দেখা যাচ্ছে, সেটি ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা’র ছবি। মহাকাশ থেকেও কাবা দৃশ্যমান।”
ছবিটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে উজ্জ্বল কাবা’র চারপাশ ঘিরে অপেক্ষাকৃত কম উজ্জ্বল আলোকমালাও দৃশ্যমান, যা কাবা’র চারপাশের মরুভূমি থেকে আসছে বলে পেটিট জানিয়েছেন।
পেশায় নভোচারী হলেও শৌখিন আলোকচিত্রী ডন পেটিট ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নাসার মিশনে আইএসএসে গিয়েছিলেন এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
প্রতি বছর হজ ও ওমরাহ পালনের জন্য লাখ লাখ মুসল্লি মক্কায় আসেন। বছরজুড়ে প্রায় প্রতিদিন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর থাকে কাবা চত্বর। নিরাপত্তা ও মুসল্লিদের সুবিধার্থে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত সোডিয়াম আলোয় কাবা চত্বরকে উজ্জ্বল রাখা হয়, যা মহাকাশ থেকেও এর দৃশ্যমানতার অন্যতম কারণ। পেটিট ছবিটি তুলেছিলেন যখন ঘণ্টায় ২৮০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটা আইএসএস আরব উপদ্বীপ অতিক্রম করছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



