জুমবাংলা ডেস্ক : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বিতর্কিত কর্মকর্তা রাসেলের বহিষ্কার দাবিতে শিক্ষার্থী কর্তৃক চলমান আন্দোলন `শিক্ষকের সম্মান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন’ স্থগিত করা হয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি(রবিবার) শিক্ষকের সম্মান প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের মুখপাত্র রাকিবুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় এর সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তারা ৫ দফা দাবী সংবলিত একটি স্মারকলিপি প্রক্টর প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। একইদিন দুপুর ১২ টায় `শিক্ষকের সম্মান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন’ এর সাথে সম্পৃক্ত ছাত্রগণ উপাচার্যের সাথে বৈঠক করেন।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবীর প্রথম দাবি হলো গত ২২ ফেব্রুয়ারী কর্মকর্তা পরিষদের মানববন্ধন থেকে দেয়া বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। দ্বিতীয় দাবিতে তারা ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তার আচরনবিধির নীতিমালা প্রনয়নের দাবি করেন।
তাদের তৃতীয় দাবি- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীরা যে হয়রানির শিকার হয় তা নিরসনের জন্য ইনচার্জের মাধ্যমে তদারকি এবং শাস্তির বিধান রাখা। চতুর্থ দাবিতে তারা কর্মকর্তাদের শিফটিং ডিউটি চালুর ব্যাপারে বলেন যাতে করে শিক্ষার্থীদের কোনো কাজে এসে কর্মকর্তার অনুপস্থিতির জন্য ফিরে যেতে না হয়। তাদের শেষ দাবিতে তারা শিক্ষক কর্মকর্তাদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না হওয়ার আইন করার কথা বলেছে এবং কেউ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হলে তাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে। এরই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার পোস্টার অপসারণের দাবীও জানিয়েছে তারা।
তবে দাবি আদায় না হলে আবার ও কঠোর আন্দোলনে নামবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা, এরূপ হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি কুঞ্জের ডাইনিং কক্ষে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার শাস্তির দাবীতে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন শুরু হয়।
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আয় কলেজছাত্রের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।