বিজ্ঞানীরা হিসাব নিকাশ করে বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ আবার দেখা যাবে ২০৪৪ সালে। তবে পূর্ণগ্রহণ দেখা যাবে শুধু উত্তর ডাকোটা ও মন্টানা থেকে। নিচের দিকের প্রায় ৪৮টি অঙ্গরাজ্যের দুপাশের সমুদ্র উপকূলের দুই প্রান্তজুড়ে পূর্ণগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৫ সালে। অবশ্য এর মাঝে বিভিন্ন দেশে আংশিক বা পূর্ণ গ্রহণ কিছু কিছু দেখা যাবে।
সৌরমণ্ডলে পৃথিবী ও চাঁদ মহাকর্ষ বলের প্রভাবে ঘুরছে। এই ঘূর্ণন প্রক্রিয়ায় কখন, কত সময়ব্যাপী গ্রহণ হতে পারে, বিজ্ঞানীরা সে হিসাব থেকেই প্রয়োজনীয় সূত্র ব্যবহার করে বিস্তারিত তথ্য বের করেছেন। এখন তো কম্পিউটারে হিসেব করে সব কিছু বলা যায়।
একটি বিষ্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, সূর্য চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুণ বড়। আবার চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুণ দূরে অবস্থান করছে। ফলে নির্দিষ্ট সময় পর পর পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চাঁদ অবস্থান করলে সূর্যগ্রহণ দেখা দেয়। পারস্পরিক অবস্থানের ভিন্নতার কারণে সব সময় পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয় না। অন্যদিকে চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় দেড় ইঞ্চি করে দূরে চলে যাচ্ছে।
গত ৫০ বছরে পৃথিবী থেকে চাঁদ প্রায় ৬ ফুট দূরে চলে গেছে। ফলে আজ যেভাবে আমরা পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখি, সুদূর অতীতে কিন্তু ঠিক এরকম পূর্ণ গ্রহণ দেখা যেত না। আবার প্রায় ১৫০ কোটি বছর পর চাঁদ এত দূরে চলে যাবে যে সূর্যগ্রহণ হয়তো আর দেখাই যাবে না। এ সময় আরও অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটবে, যা এখনই বলা সম্ভব নয়।
তাই বলা যায় পৃথিবীতে আমরা যে সময় অতিক্রম করছি, কয়েক বছর পর পর চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ দেখতে পাচ্ছি, তা সত্যি বিষ্ময়কর। আমরা একটি চমৎকার সময়কাল অতিক্রম করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।