বিনোদন ডেস্ক : সৈয়দ আহমেদ শাওকীর পরিচালনায় হইচইয়ের জনপ্রিয় সিরিজ ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। প্রথম সিজনে ছিলো একটি বোরখা পড়া চরিত্র। যেটি সিরিজের প্রতিটি পরতে পরতে রহস্য ছড়িয়েছে। অনেকের আগ্রহের কেন্দ্র ছিলো চরিত্রটি। সম্প্রতি এসেছে কারাগারের দ্বিতীয় সিজন। এই সিজনে চরিত্রটির জট খুলেছে। কারাগারের আশপাশের বোরখা পরে ঘুরঘুর নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন নব্বই দশকের ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানভীন সুইটি।
দ্বিতীয় সিজনেও তার দর্শন পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দর্শক। সম্প্রতি নিজের কাজ নিয়ে কথা বলেছেন দেশের ইত্তেফাক অনলাইনের সঙ্গে।
‘কারাগার’র দুই সিজনেই আপনি ছিলেন। তো… দর্শকের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
এই ধরণের একটি প্রজেক্টে কাজ করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত এবং খুশি। যদিও প্রথম সিজনে পুরোটা আমাকে বোরখা পড়ে রাখা হয়েছিলো। তখন থেকেই এই চরিত্রটি নিয়ে সবার আগ্রহ বেশি ছিলো। অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিলো কারাগারের মধ্যে সন্দেহজনক কে এই নারী। এরপর দ্বিতীয় সিজনে সবাই আমাকে চিনেছে। দুই বাংলা থেকেই ফোন এবং অনলাইনে ভীষণ প্রশংসা পাচ্ছি। অনেক ভালো লাগছে।
আপনাকে আমরা দীর্ঘসময় টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। অনেকদিন পর দেশ-বিদেশে আলোচিত একই সিরিজে দেখলাম। টিভি ও ওটিটির মধ্যে কাজের পার্থক্যটা কি?
অবশ্যই পার্থক্য আছে। নাটক ও ওয়েব সিরিজের স্ক্রিপ্টে একটি বিশাল পার্থক্য। এছাড়া ওয়েব সিরিজে বিস্মৃতিটা বড়। এখানে চরিত্র নিয়ে সবাইকে অনেক সচেতন থাকতে হয়। বলা যায়- কারাগারের কাজ চলাকালীন আমরা জেলখানায় শুটিং দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেদিন যাদের শুটিং ছিলো আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। টেলিভিশনে এতোটা সিরিয়াসভাবে হয়না। সবাই অনেক হৈ-হুল্লোর-আড্ডা ও মজা করে কাজ করি।
দীর্ঘ বিরতির পর এই সময়ে এসে নিজেকে মানিয়ে নিলেন কীভাবে?
আমরা সবাই ভালো কাজ করতে চাই। এটার পেছনে আমরা সবাই ছুটি। কিন্তু আমাদের কাছে ভালো স্ক্রিপ্ট আসে না। আমরা ৩০ বছর ধরেই কাজ করছি। আমরা যারা ৯০ দশকের শিল্পী আছি আমরা চাই, আমাদের কাছে ভালো স্ক্রিপ্ট আসুক। যখন সেটা আমরা পাই তখন পুরোটা দেওয়ার চেষ্টা করি। ওটিটির কারণে আমরা ভালো কাজের আশা করছি।
সিনিয়র অভিনয়শিল্পীরা মাঝে অভিনয় প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। ওটিটির কারণে অনেক শিল্পী অভিনয়ে ফিরছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন।
ভালো চরিত্রের জন্য আমরা সবসময় চেয়ে থাকি। আমরা কেউ কাজ বন্ধ করি না। দিন শেষে আমরা কাজটাকে ভালোবাসি। এতদিন ধরে আমরা অভিনয়ের সঙ্গে আছি-কারণ আমরা এটাকে ভালোবাসি। আমরা সবাই আবার ফিরছি বললে ভুল হবে। আমরা ছিলাম, আছি ও থাকবো। ওটিটির মূল বিষয়টি হলো- আপনাকে অভিনয় জানতে হবে। যদি ৪টি চরিত্র থাকে তাহলে ৪ জনকেই অভিনয় জানতে হবে। সুতরাং ওই জায়গা থেকে ৯০ দশকের যারা শিল্পী আছেন তারা আবার আলো দেখছেন-কাজ জানেন বলেই তারা কাজ করতে পাচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।