আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু না। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৬৪ বছর পুরানো সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি ইস্যু। ১৯৬০ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল আইয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন নিয়ে এই চুক্তি সাক্ষর হয়।
সম্প্রতি সেই চুক্তিতে কিছু পরিবর্তন চেয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ পাঠায় ভারত। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবেশী দুই দেশের ঐতিহাসিক সিন্ধুচুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছেন নরেন্দ্র মোদি।
চুক্তি অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের তিনটি নদী বিপাশা, ইরাবতী ও শতদ্রুর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের। অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ধু, চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার পানি ব্যবহার করতে পারবে পাকিস্তান।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের দাবি, চুক্তিতে সিন্ধু নদীর মাত্র ২০ শতাংশ পানি ভারতের অংশে দেয়া হয়েছে। আর বাকি ৮০ শতাংশই পাকিস্তানের অধীনে আছে।
ভারত বলছে, যে সময়ে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়, সে সময়ের তুলনায় এখন দেশের জনসংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। কৃষিক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। বেড়েছে ভারতের নদীর পানি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা। চুক্তিতে কিছু পরিবর্তন এনে এ সুবিধা নিতে চায় নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানকে পাঠানো নোটিশে ভারত কী ধরনের পরিবর্তন চায়, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মোদি সরকার পাকিস্তানের অধীনে থাকা পানি ব্যবহার করে জলবিদ্যুৎ ও অন্যান্য পানিভিত্তিক প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা করছে। সে হিসাব করেই নয়াদিল্লি আগের চুক্তি ভেঙ্গে নতুন করে সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন করার প্রস্তাব দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর স্বাভাবিক ধারা ব্যাহত করার অভিযোগ এনে বলেছে, ইসলামাবাদ এ চুক্তিতে কোনো পরিবর্তন চায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।