জুমবাংলা ডেস্ক: গাজীপুরের শ্রীপুরের পাঠইচ্ছা পল্লী উন্নয়ন পাঠাগারের আমতলায় এ প্রজন্মের স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণীদের হিমালয় জয়ের গল্প শোনালেন পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল ।
শাকিল শ্রীপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাগচালা গ্রামের বাসিন্দা। ১০৯ দিনে শাকিল নেপালের পূর্ব-পশ্চিমে অবস্থিত বিস্তীর্ণ গ্রেট হিমালয়ার এক হাজার ৭০ কিলোমিটার দুর্গম গিরিপথ পাড়ি দিয়েছেন। ৫ হাজার ৭৫৫ মিটার উঁচু তাশি-লাপৎসা পর্বতের চূড়ায় প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন। হিমালয় বিজয় শেষে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আসার পর বাংলাদেশ দূতাবাসে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
গেল ৫ আগস্ট শনিবার বিকেলে উপজেলার চকপাড়া গ্রামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক ড. সেলিম রেজা।
গ্রেট হিমালয়া ট্রেইল নিয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে নেপাল থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৯৩ জন অভিযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে সফলভাবে এই অভিযাত্রা সম্পন্ন করেছেন মাত্র ৩২ জন অভিযাত্রী। সেই হিসেবে সর্বশেষ বাংলাদেশের শাকিল সেই তালিকায় ৩৩তম অভিযাত্রী।
শাকিল বলেন, মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছি। প্রতি মুহূর্তেই মনে হয়েছে এই বুঝি প্রাণটা বেরিয়ে যাচ্ছে। গ্রেট হিমালয়া ট্রেইলের এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার দুর্গম পথের প্রতিটি ইঞ্চিই মনে হয়েছে ভীষণ রকম ঝূঁকিপূর্ণ। তবে সেই পথ পাড়ি দিয়েও তৃষ্ণা মেটেনি। এবার ভারতের সিকিম ও নেপালজুড়ে অবস্থিত পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা’র চূড়ায় ওঠার স্বপ্ন দেখছি।
শাকিল জানান, নেপালের পশ্চিম প্রান্তের হিলশা বর্ডার থেকে শুরু করে পূর্বাঞ্চলীয় কাঞ্চনজঙ্ঘা বেস ক্যাম্প পর্যন্ত এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তার সময় লেগেছে ১০৯ দিন। এই অভিযানে শাকিল ২৯টি দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করেছেন। এর মধ্যে ১৪টিই ছিল বিপদাচ্ছন্ন। বেশ কয়েকবার বিপদের মুখে পড়েও ফিরে এসেছেন। একাধিক গিরিপথে রীতিমতো মৃত্যুর হাত ছুঁইয়ে বেরিয়ে এসেছেন। এগিয়ে গেছেন সামনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।