জুমবাংলা ডেস্ক : নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফলে সে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এখন অবৈধ অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছে নাটোরের পুলিশ।
সূত্র বলছে, পলকের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র শেখ হাসিনার সরকার পতনের দিনই খোয়া গেছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জুনাইদ আহমেদ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তার নামে লাইসেন্স করা আছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। সেই শটগান-পিস্তল ও গুলি রাখা ছিল জাতীয় সংসদ ভবনে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে গেলে আন্দোলনকারী ছাত্রজনতা গণভবন ও সংসদ ভবন নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ওই দিন গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি স্থাপনায় ঢুকে পড়েছিল হাজারো মানুষ। তারা নিজেদের মতো করে বিজয় উদ্যাপন করছিলেন। এরই মধ্যে একটি পক্ষ গণভবন ও সংসদ ভবনে লুটপাট চালায়। সে সময় অন্যান্য মালামালের সঙ্গে পলকের সংসদ ভবনের অফিস কক্ষে রাখা তার আগ্নেয়াস্ত্র দুটিও লুট হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয় জানিয়েছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সময় ৩ সেপ্টেম্বর পার হয়েছে। অস্ত্র দুটি নাটোর প্রশাসনের কাছে বা থানায় কেউ জমা দেয়নি। ফলে আগ্নেয়াস্ত্র দুটি এখন অবৈধ অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।