আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এই চাঞ্চল্যকর মামলায় ১৯ জনের সাজা ঘোষণা করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত। যে ৬ জনকে ১০ বছর কারাদ- দেয়া হয়েছে তাদের ৪ জন বাংলাদেশের নাগরিক। দুই নারী সহ ৩ জনকে দেয়া হয়েছে ৬ বছরের কারাদণ্ড। বাকিদের সাজা ৮ বছরের।
কারাদণ্ডের সঙ্গে প্রত্যেক সাজাপ্রাপ্তকে ২০ হাজার রুপি করে জরিমানার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। যাদের একাধিক সাজা হয়েছে, তাদের সব সাজা একসঙ্গে চলবে। এদের মধ্যে সবাই পুলিশ বা জেল হেফাজতে রয়েছেন। ১৯ জনের মধ্যে ১০ বছরের কারাদ- হয়েছে শেখ রহমতুল্লা, সাইদুল ইসলাম ওরফে শামিম, মুহাম্মদ রুবেল, সাদিক ওরফে সুমন, হবিবুর ওরফে জাহিদুর ইসলাম এবং তারিকুল ইসলামের। দোষীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশদ্রোহিতা, অস্ত্র আইন-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়। বাংলাদেশি চার জনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টেও মামলা করা হয়েছিলো। এই ধারাগুলিতে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন এবং সর্মনিম্ন পাঁচ বছর। কিন্তু দোষীরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাকিল গাজি নামে এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত ছিলো করিম শেখ নামে আরও এক জন। প্রথমে জেলা পুলিশ পরে সিআইডি এবং সব শেষে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছিল এনআইএ। ঘটনার পিছনে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-এর নাম জড়ায়। বিস্ফোরণের পর ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয় গুলসানা বিবি ওরফে রাজিয়া এবং আলিমা বিবি নামে দুই নারীকে।
সূত্র : আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।