অনেকেই ভাবতে পারে আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব এখন দুনিয়া শাসন করছে। কাজেই অনেক দেশের পক্ষেই প্রকাশ্যে রাশিয়াকে সমর্থন করা সম্ভব না। সমর্থন দিলে বিপদে পড়তে হবে। তবুও বেলারুশ, চীন, ভেনেজুয়েলা, ব্রাজিল সহ বেশ কিছু দেশ পুতিনের বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমানে ইরান এবং রাশিয়ার প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব প্রদর্শন করায় তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হতে সক্ষম হয়েছে। ইরান যুদ্ধের নিন্দা জানায়নি এবং রাশিয়া অসন্তুষ্ট হবে এরকম কোন বক্তব্য দেওয়া থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে।
ইরান এবং রাশিয়া উভয় দেশ সিরিয়ায় বাশার আসাদের পক্ষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয় পর থেকে এরদোগান এবং পুতিন বেশ ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের এত অবরোধকে ইতিবাচক হিসেবে নেয়নি তুরস্ক।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে সরাসরি লড়াই করেছে বেলারুশ। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ২০২০ সালে লুকাশেঙ্কো এর বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ হলেও পুতিনের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পান তিনি।
যুদ্ধে মিয়ানমারের সমর্থন পেয়েছে রাশিয়া। মিয়ানমার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। সিরিয়ার বাশার আল আসাদের সাথে পুতিনের অনেক দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। পশ্চিমাদের হাতে বাশার আল আসাদের পতন রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পুতিনকে ফোন করে নিজের সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। মাদুরো অভিযোগ করেন বিশ্বব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে পশ্চিমা বিশ্ব। পুতিন যখন জর্জিয়ায় অভিযান চালায় তখন ভেনেজুয়েলার সমর্থন পায় রাশিয়া।
উত্তর কোরিয়া যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করেছে। পশ্চিমাদের অবরোধ সত্বেও উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সমর্থনে নিজেদের অস্ত্র ভান্ডার সমৃদ্ধ করছে। তাছাড়া চীন এবং রাশিয়া অনেকদিন ধরেই বেশ ঘনিষ্ঠ। চীনের জনগণ সবসময় রাশিয়ার কাছে নিজেদের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।