আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কখনো কখনো এমন প্রাণীর আবির্ভাব ঘটে যা দেখলে মনে হয় আপনিও প্রথম দেখছেন। ছত্রিশগড়ের কাঙ্কের জেলায় এমনি এক প্রাণী দেখে মানুষ অবাক হয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গলে ঘেরা কাঙ্কের শহরে দুধওয়া বনাঞ্চলে এই ভয়ংকর প্রাণীটি দেখা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে রাস্তার ধারে এই প্রাণীটি বিচরণ করেছিল, যারা এর আগে গ্রামবাসী কখনো এমন প্রাণী দেখেনি।
রাস্তার ধারে বিচরণ করা এই ভয়ংকর প্রাণী:-
বনদপ্তর থেকে জানানো হচ্ছে এই প্রাণীটির নাম ‘হানি ব্যাজার’ (Honey Badger)। কোথালভাট্টি গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তার ধারে এই ভয়ংকর প্রাণীটিকে দেখতে পায়। এই ধরনের বিরল প্রজাতীর প্রাণী দেখে এলাকায় শোরগোল মোচে। দেখামাত্রই বন বিভাগে খবর দেওয়া হয় এবং বনদপ্তর প্রাণীটিকে সংরক্ষণ করে। বলা হচ্ছে মধু বেজার নামে এই প্রাণীটিকে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভীক প্রাণী বিবেচিত করা হয়। এই এলাকার পাশেই সীতানদী অভয়ারণ্য রয়েছে, মনে করা হচ্ছে এই ভয়ংকর প্রাণীটি সেখান থেকেই এসেছেন।
হানি ব্যাজার প্রাণীটি প্রথমবারের মতো দেখানো হয়েছে:-
ঘন জঙ্গলে ঘেরা কাঙ্কের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী দেখা গেলেও, এই প্রাণীটিকে দেখা ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। বনদপ্তর জানান, এই প্রথম ‘মধু বেজার’ লক্ষ্য করা গেল। এই প্রজাতির প্রাণী প্রায় দেড় দশক ধরে কমতে শুরু করেছে, যার কারনে এটিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর শ্রেণীতে রাখা হয়েছে।
সিংহের সাথেও লড়াই করে, চিন্তাভাবনা মানুষের মতই:-
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে, ‘হানি ব্যাজার’ একটি ভয়ংকর প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই হানি ব্যাজার (Honey Badger) প্রাণীটি সিংহের (Lion) সাথে লড়াই করতে ভয় পায় না। এই প্রাণীটি নির্ভীক এর পাশাপাশি বুদ্ধিমান ও চতুর। জানা যায় যদি এই প্রাণীটিকে কোন ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়, তাহলে ওই দরজার কুঁচি খুলতে পারে। এটি পাথর, কাঠ বা লাঠির সাহায্যে খুব সহজে দেয়ালে উঠতে পারে। এই প্রাণীটি গর্ত করে মাটির মধ্যে সুরঙ্গ বানাতে পারে। বিপ্পজনক পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা করে নিরাপদ হতে পারে প্রাণীটি নিজেই। এই প্রাণীটির বুদ্ধি যেন হুবহু মানুষের মতোই।
এমনিতেই শেয়াল চতুর প্রাণীদের মধ্যে একটি। আর ‘হানি ব্যাজার’ প্রাণীটি শিয়ালের থেকেও চতুর। বলা হচ্ছে শেয়ালের বাসস্থল দখল করে নেয় এই প্রাণীটি। লড়াইয়ের জন্য হানি ব্যাজার লম্বা নখ ব্যবহার করে। এই প্রাণীটি বেশিভাগ সময় রাতে স্বীকার করতে বের হয়। জানিয়ে রাখি, এই প্রাণীর আয়ু ১৫-২০ বছর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।