আইসিসির আসরগুলোতে বরাবরই ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামে ভারত। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তার ব্যতিক্রম নয়। রোহিত-কোহলিদের মতো অভিজ্ঞ এবং সূর্যকুমার-জয়সাওয়ালদের মতো তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে ট্রফি জিততেই মাঠে নামবে আকাশী-নীলরা।
এদিকে আইসিসি ইভেন্টগুলোতে অন্য যে কোনো দলের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে ভারত। যেখানে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে ভারতের বিপুল পরিমাণ ক্রিকেট ভক্তরা। কারণ, তাদের দিয়েই হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করে থাকে আইসিসি। তাই ভারত ম্যাচগুলোর দিকে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে আইসিসির।
ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশটিকে সেমিফাইনালে তোলার পরিকল্পনা করে থাকে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাকি দলগুলোর চেয়ে বেশি সুবিধা পেতে যাচ্ছে ভারত।
এ ছাড়াও আসরের সব থেকে হাইভোল্টেজ ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয় নিশ্চিত করার কাজটা অনেকটায় এগিয়ে রেখে আইসিসি নিজেই। নিউয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামব এশিয়ার দুই পরাশক্তি।
ড্রপ-ইন পিচ দিয়ে তৈরি করা এই স্টেডিয়ামের চরিত্র নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ, প্রথম ম্যাচ খেলতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তবে সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারানো সম্ভাবনাই বেশি।
কারণ, সেই কাজটা অনেকটায় এগিয়ে রেখেছে আইসিসি। নাসাউ স্টেডিয়ামে ভারত ম্যাচ দিয়ে বাবর আজমরা প্রথমবার খেলতে নামলেও তার আগে এই মাঠে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলবে কোহলিরা। তাই মাঠে চরিত্র ভালোভাবেই বুঝে রাখবে ভারত। যেখানে পাকিস্তান পুরোপুরি পিছিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। একই মাঠে ৯ জুন পাকিস্তানকে মোকাবিলা করবে রোহিত শর্মার দল। এ ছাড়াও গ্রুপ পর্বে বাকি দুই ম্যাচও একই মাঠে খেলবে ভারত। তাই একই ভেন্যুতে ভারতের পাঁচটি ম্যাচ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্ন ওঠে।
অন্যদিকে ভারত বাদে বাকি দলগুলোর জন্য ভিন্ন ভাবে চিন্তা করেছে আইসিসি। পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
পরের দুই ম্যাচ ভারত এবং কানাড বিপক্ষে খেলবে এই নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে ফ্লোরিডায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান।
এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভিসা না পাওয়ায় ভারতের বাবর আজমদের সমর্থন দিতে যেতে পারেনি পাকিস্তানি দর্শকরা। এমনকি অনেক সাংবাদিকরাও ভিসার জন্য বিশ্বকাপ কাভার করতে যেতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন।
তাই ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও কন্ডিশন, দর্শক এবং পিচের অভিজ্ঞা বিবেচনায় পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। তবে দেখা যাক শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নিতে পারবে কি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।