আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তেজনা বিরাজ করতেছে পাকিস্তানের রাজনীতিতে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে একত্রিত হচ্ছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। আগামী ৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। সর্বশেষ, দেশটির জিয়ো টিভি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিরোধী জোটের হাতে রয়েছে ১৯৯ ভোট। অন্যদিকে ইমরান সরকারের রয়েছে ১৪২ ভোট। তাই ধরেই নেওয়া হচ্ছে, ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর দ্বারপ্রান্তে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, কে হচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান অনাস্থা ভোটে হারলে দেশটিতে নতুন করে সরকার গঠন হবে। দেশটির বিরোধী নেতা ও পাকিস্তান মুসলিম-লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এম) শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। বুধবার (৩০ মার্চ) পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি শেহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিপি চেয়ারম্যান গতকাল বলেন, ‘ইমরান খান সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। তিনি আর প্রধানমন্ত্রী নন। আগামীকাল সংসদে অধিবেশন। আসুন আগামীকাল ভোট গ্রহণ করি। বিষয়টি নিষ্পত্তি করি। এরপর আমরা স্বচ্ছ নির্বাচনের কাজ শুরু করতে পারি। পাশাপাশি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অর্থনৈতিক সংকট অবসান যাত্রা শুরু করতে পারি।’ বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আরও বলেন, ‘শরিফ শিগগিরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন। গত সোমবার শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন।’
শেহবাজ শরিফ পিএমএল-এমের প্রেসিডেন্ট যিনি তার ভাই নওয়াজ শরিফের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ দেশটিতে দুটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন।
প্রসঙ্গত, শেহবাজ শরিফ বর্তমানে পাকিস্তানের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের বিরোধী নেতা। তিনি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রী। শেহবাজ তিনবার এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফের হাতে অভ্যুত্থানের পর, তাকে পাকিস্তান ছাড়তে হয়। পরবর্তী আট বছর সৌদি আরবে নির্বাসনে কাটাতে হয়েছিল শেহবাজ শরিফকে।
এরপর শেহবাজ শরিফ ও তার ভাই ২০০৭ সালে পাকিস্তানে ফিরে আসেন। এর পর তিনি আবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন এবং তার দল ২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে। ২০১৩ সালে তৃতীয়বারের মতো পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেয়াদ শুরু হয় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পিএমএল-এনের পরাজয়ের আগ পর্যন্ত তিনি পূর্ণ মেয়াদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর শেহবাজ শরিফকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।