আন্তর্জাতিক ডেস্ক :পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সহিংসতাপূর্ণ প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররাম জেলায় শিয়া ও সুন্নি গোত্রের মধ্যে চলমান সংঘাতে গত ১১ দিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এই সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরো ১৮৬ জন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, দু’পক্ষ সম্প্রতি সংঘর্ষ-বিরতির ঘোষণা দিলেও তাতে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। সংঘর্ষ-বিরতির পরও সহিংসতা অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষের কারণে পেশোয়ার-পারাচিনার মহাসড়ক এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং বাণিজ্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। পাশাপাশি, খারলাচি সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যও বন্ধ হয়ে গেছে।
সহিংসতার উৎস ও প্রভাব
গত ২১ নভেম্বর দুইটি গাড়িবহরে বন্দুক হামলার পর সহিংসতা নতুন করে ছড়িয়ে পড়ে। ওই হামলায় ৫২ জন নিহত হন। এরপর থেকে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েই চলছে। নিহতদের মধ্যে ৯০ জন শিয়া ও ৩৩ জন সুন্নি বলে জানিয়েছে এএফপি।
ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা স্থগিত থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যও স্থবির হয়ে পড়েছে।
সংঘর্ষ-বিরতির প্রচেষ্টা
সংঘর্ষ বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জ্যেষ্ঠ নেতারা জিরগার মাধ্যমে সংঘর্ষ-বিরতির উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার কারণে এই প্রচেষ্টা এখনও পুরোপুরি সফল হয়নি।
কুররামের উপকমিশনার জাভেদুল্লাহ মেহসুদ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংঘর্ষ-বিরতি কার্যকর করে দ্রুত এলাকার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে, তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এখনও শান্তি ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।