আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। এখন নওয়াজ শরীফের দল সামান্য এগিয়ে। খুবই ধীরে ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে।
ভোটপর্ব শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায়। কিন্তু তারপর ভোটগণনার কাজ খুবই ঢিমে গতিতে এগিয়েছে। শুক্রবার সকালে সামান্য কিছু আসনের ফলাফল জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাতে দেখা যাচ্ছে, নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল(এন) জিতেছে আটটি আসনে। ইমরানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র বা নির্দল প্রার্থীরা জিতেছে ছয়টি আসনে। পাঁচটি আসনে জিতেছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি(পি)। অন্যরা একটি আসনে জিতেছে।
পিটিআই নেতা ওমর আয়ুব খান অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন পরবর্তী রিগিং হচ্ছে। তিনি রিটার্নিং অফিসারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন এই ধরনের কোনো রিগিং না করেন।
রাওয়ালপিণ্ডির পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী বশারত রাজা বলেছেন, এখানে ফলাফল নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি আসলে এই কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জিতেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো ভোটকেন্দ্রেই লিড পাননি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লাহোরের একটি কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। নওয়াজ শরীফও সামান্য ভোটে জিতেছেন বলে জিও টিভি জানিয়েছে।
ইমরানের পিটিআই এবার দল হিসাবে লড়তে পারেনি। তবে তারা স্বতন্ত্র বা নির্দলদের সমর্থন করেছে। নির্দলরা ভোটে লড়েছেন। প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা নওয়াজ শরীফ ও ভুট্টোর দলকে রীতিমতো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলেছেন।
ভোট শেষ হওয়ার প্রায় দশ ঘণ্টা পর রাত তিনটে নাগাদ প্রথম চারটি ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, ফলপ্রকাশেএত দেরি হলো কেন?
ভোটগণনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ইন্টারনেট সমস্যার জন্য ভোটগণনার ক্ষেত্রে এত দেরি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোটের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডন)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।