জুমবাংলা ডেস্ক : রমজান মাসসহ সারা বছরের চাহিদা মেটাতে পাকিস্তান থেকে খেজুর, কমলার পাশাপাশি অন্যান্য ফল ও কৃষিপণ্য আমদানিতে বড় সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকগণ। পাশাপাশি পাকিস্তানে বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি সম্ভাবনাও রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এ জন্য দু’দেশের মধ্যে শুল্ক-অশুল্ক বাঁধাসমূহ দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন উভয় দেশের ব্যবসায়ীবৃন্দ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে এফবিসিসিআই এবং পাকিস্তানের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা উঠে আসে।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই এর প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, রমজান মাসে বাংলাদেশে খেজুরের প্রচুর চাহিদা থাকে। পাশাপাশি অন্যান্য ফলের চাহিদাও এ সময় বেড়ে যায়। এছাড়া বছর জুড়েই স্থানীয় বাজারে দেশি-বিদেশি ফলের বেশ চাহিদা থাকে। বাংলাদেশের জন্য ফল ও কৃষিপণ্যের সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য উৎস হতে পারে পাকিস্তান, জানান এফবিসিসিআই এর প্রশাসক।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, বেসরকারি খাতে যৌথ উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের বিষয়েও গুরুত্ব দেন তিনি।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্য লজিস্টিক্স, সাপ্লাই চেইন, কোল্ড স্টোরেজ, প্যাকেজিং এবং পণ্য পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দেন উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাই কমিশনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এটাচে জনাব জাইন আজিজ, এফবিসিসিআই –এর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মোঃ জাফর ইকবাল এনডিসি, এফবিসিসিআই –এর নেতৃবৃন্দ, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্যরা।