নিজস্ব প্রতিবেদক : এক সময় রাষ্ট্রীয় মদদে দখল হওয়া ইউনাইটেড কর্মাসিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে নামে বেনামে টাকা পাচার করা হয়েছে। সেই অর্থ ফিরিয়ে আনতে দুদক এবং বিএফআইইউ’র সহায়তা চেয়েছেন ব্যাংকটির নব গঠিত বোর্ড চেয়ারম্যান শরীফ জহির।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো থেকে আমানতকারীদের ৩-৪ বিলিয়ন (৩০০–৪০০ কোটি) ডলার নাই হয়ে গেছে। এই অনিয়ম স্বীকার করতে হবে। এরপর মূলধন পুনর্গঠন করে এসব শুণ্যতা পূরণ করার উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যাংক এমন প্রতিষ্ঠান, যেখানে অনিয়ম করে পার পাওয়ার উপায় নেই। যারা অনিয়ম করেছেন, তাঁদের যথাযথ শাস্তি হোক, এটা আমাদের চাওয়া। তাঁদের শাস্তি যেন দেশের মানুষ দেখতে পায়।’
জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ইউসিবি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আত্মীয়দের নামে এবং বেনামে প্রচুর টাকা ঋণ দেয়া হয়। এই ঋণের বড় অংশই হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে। এবার সেই অর্থ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইউসিবি।
ইউসিবি ব্যাংকের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন ব্যবস্থাপনায় সংস্কার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। অনিয়মে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। গঠন করা হয়েছে আলাদা রিকভারি টিম। অডিট ফার্ম নীরিক্ষা কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ।
এদিকে নতুন চেয়ারম্যান শরীফ জহির যোগদানের পর ব্যাংকটিতে গ্রাহকদের আস্থা ফিরে আসছে। তিন দিনে ৪০৯ কোটি টাকার আমানত এসেছে। ঋণের অর্থও ফেরত দিচ্ছে গ্রাহক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।