জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদে ঘরমুখী যাত্রীরা পথে পথে ভোগান্তি পোহচ্ছেন। পাটুরিয়া ঘাটে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করে ক্লান্ত যাত্রীরা। দীর্ঘ পথ হেঁটে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাড়ি ফেরার নেশায় স্বাস্থ্যবিধির কথা অনেকেই ভুলে গেছেন। কিছু বাস নিয়ম মেনে চললেও ফেরি-লঞ্চে এসবের বালাই নেই।
ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জে আসা মিজানুর রহমান জানান, মতিঝিল থেকে নবিনগর পর্যন্ত বাসটি একটু একটু করে এগিয়েছে। অতিরিক্ত গাড়ির চাপে থেমে থেমে এসছে। বিভিন্ন রাস্তার গাড়ি এই রোডে চলে আসায় এই ভোগান্তি হচ্ছে। ভাড়া নিয়েছে কয়েকগুণ।
রেবেকা নামে এক যাত্রী বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে বরংগাইল ভাড়া ২০ টাকা। কিন্তু বাসের লোক চাচ্ছে ১০০ টাকা। আমি হিসাব করে টাকা এনেছি। তিনজন বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে আমি কীভাবে যাব। অনেকক্ষণ যাবৎ অপেক্ষা করছি।
এদিকে, কয়েক কিলোমিটার হেঁটে এসে যাত্রীরা পাটুরিয়া ও আরিচা জড়ো হচ্ছেন। এরপর তারা গাদাগাদি করে ফেরি ও লঞ্চে যাচ্ছেন। যাত্রীরা বলেন, আগে বাড়ি যাই তারপর দেখা যাবে করোনা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত মহা-ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি ও আরিচা-কজিরহাট নৌরুটে ৩টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়া লঞ্চে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার লোকজন স্বাচ্ছন্দে এই নৌরুট পার হচ্ছেন। যাত্রীবাহী পরিবহন ও ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার করায় অন্যান্য পণ্যবাহী পরিবহনকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।