আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাবজি থেকে প্রেম, বাংলার যুবককে বিয়ে করলেন কন্নড় যুবতী। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ, তারপর প্রেম, তারপর বিয়ে। এমন নজির প্রচুর। তাই বলে ভার্চুয়াল গেম অ্যাপে প্রেমিকা তথা বধূ খুঁজে পাওয়া? এই ঘটনা নজিরবিহীন। তার উপর ‘শত্রু’কেই জীবনের পরমবন্ধু করে ফেলা!
কর্ণাটকের যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হল বাংলার ধুপগুড়ির যুবকের। নেপথ্যে ভার্চুয়াল গেম অ্যাপ পাবজি। যুবক সাইনুল আলম জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির ব্লকের আলসিয়া গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিনের পাবজি খেলোয়ার। এই খেলায় আসক্ত থাকায় তাকে বহু গালমন্দ শুনতে হয়েছে পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছে। আর সেই খেলা থেকেই কিনা ঘরে এল বউ! এতখানি ভাবতে পারেননি সাইনুলের আত্মীয়রাও।
সাইনুল জানিয়েছেন, বহু দিন ধরেই পাবজি খেলছেন তিনি। তা থেকেই আলাপ হয় কন্নড় যুবতী ফ্রিজার সঙ্গে। শুরুতে দু’জন ছিলেন একে অপরের কড়া প্রতিপক্ষ। খেলার নিয়ম অনুযায়ী উভয়ের মধ্যে চলে গুলি ছোঁড়াছুড়িও। এরপরই পরিচয়, ফোন নম্বর বিনিময়। এবং ধীরে ধীরে গভীর হয় আলাপ। এভাবেই একদিন অনলাইনে দেখা করেন দু’জনে।
পারিবারিক ব্যবসা মুদি দোকান সামলাতে হয় সাইনুলকে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সুদূর দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটকে গিয়ে মনের মানুষ ফ্রিজার সঙ্গে দেখা করা হয়নি সাইনুলের। তবে ফ্রিজা কিন্তু বাইরের দূরত্বের পরোয়া করেনি। সে শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে বাগডোগরা হয়ে সটান পৌঁছে যায় সাইনুলের ঠিকানায়।
ফ্রিজার বিষয়ে কিছুই জানা ছিল না পরিবারের। ফলে কন্নড় মেয়েকে দেখে বেজায় অবাক হয় সাইনুলের পরিবারের সদস্যরা। তাতে অবশ্য কিছু আটকায়নি। কারণ নাছোড় মেয়েকে পছন্দ হয় সকলেরই। এরপরই সাইনুলের পরিবার যোগাযোগ করে ফ্রিজার পরিবারের সঙ্গে। এবং শনিবার বিকেলে বিয়ে হয় সাইনুল-ফ্রিজার।
পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী সকলকে চমকে দিয়ে বিয়ে করে বেজায় খুশি সাইনুল। নতুন বউকে পাশে নিয়ে সাইনুল বলেন, “খেলায় আমরা শত্রু ছিলাম বটে। ওঁকে হারানোই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু ও খুবই ভাল যোদ্ধা। তাই আলাপ করতে ইচ্ছে হল। ভাল লাগল।” তারপরের ঘটনা তো এখন বাংলা থেকে কর্ণাটক সকলেরই জানা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।