জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ৭ বছর পর পাবনার যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লাভলু হত্যাকান্ডের মূল হোতাকে আটক করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পাবনা ইউনিট। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের মূল হোতা গ্রেফতার হলেও সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে পিবিআই পাবনার পুলিশ সুপার মোঃ ফজলে এলাহি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা লাভলুকে ২০১৪ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরে লালন শাহ সেতুর টোল প্লাজার কাছে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ছিনতাইকারী রাস্তায় গতিরোধ করে কুপিয়ে হত্যা করে তার মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।
মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দিলে, বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকান্ডের মূল হোতা পলাশ মিয়াকে রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার কালারিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ জানায়, নিহত লাভলু ঘটনার দিন রাতে পাকশী লালন শাহ সেতুর টোল পয়েন্টের কাছে পৌঁছালে পলাশ ও তার দলবল রশি ফেলে তাদের গতিরোধ করে তাদের মারধর করে এবং ছুরিকাঘাত করে। এতে লাভলুর মৃত্যু হলেও বেঁচে যান তার সাথে থাকা মোসতাকিন মনোয়ার।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পিবিআই তদন্ত করে পলাশের নাম জানতে পাড়ে। পড়ে পলাশকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে হত্যাকান্ডের ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করা হয় এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের নাম জানা গেছে বলে জানান তিনি। গ্রেফতারকৃত পলাশ মিয়াকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।