পারমাণবিক বোমা বা নিউক্লিয়ার ওয়েপনের নাম শুনেনি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এটি কতটা ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মানুষ দেখেছে। এ বোমার সবথেকে ভয়ংকর দিক হচ্ছে অনেক বছর পরেও এটির নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া রয়ে যায় এবং মানুষের শরীরে তারা প্রভাব থেকে যায়।
পারমাণবিক বোমার আঘাতে গোটা একটি শহর একেবারে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের দুটি শহরের অভিজ্ঞতা এরকমই ছিল। যখন কোন এক জায়গায় পারমাণবিক বোমা ফেলা হয় তখন সেখানে প্রচন্ড তাপের সৃষ্টি হয়।
সে তাপ এতটা বেশি যে বাতাসে একেবারে আগুন ধরে যায়। মাত্র ১০ সেকেন্ড ভয়াবহ অগ্নিকুণ্ড পূর্ণ পরিসরে অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। ঘন্টায় কয়েকশো কিলোমিটার বেগে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। আশেপাশে সৃষ্টি হয় তীব্র তেজস্ক্রিয়তা এবং আগুনের ঝলক।
পারমাণবিক বোমা যেখানে ফেলা হয় তার আশেপাশে প্রায় সকল মানুষের তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটে থাকে। কেউ যদি বেঁচেও যায় তার শরীরের একাংশ পুড়ে যেতে পারে। ফুসফুস ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর রেডিয়েশনের নেতিবাচক প্রভাব তো আছেই।
নাক, মুখ এবং চোখ দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। কম্পিউটার, ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি সহ স্যাটেলাইট নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে পারমাণবিক আঘাত। রেডিয়েশনের প্রভাবের কারণে ওজন স্তরের ক্ষতি হয় এবং অতিবেগুনি রশ্নির সহজে প্রবেশের কারণে মানুষের ক্যান্সার রোগ হয়ে থাকে।
সামুদ্রিক জীব এবং অন্যান্য প্রাণীকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। মাটির নিচে বাঙ্কারে আশ্রয় নিলে বিষাক্ত বায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করে তাদের মৃত্যু হতে পারে। ওই অঞ্চলে কয়েক দশক ধরে এর প্রভাব থেকে যায় বলে মানব শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম নেওয়া এর নেতিবাচক ফলাফলের একটি। সে অঞ্চলে পরবর্তী সময় যারা বসবাস করবেন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে। ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর সহ অন্যান্য রোগে প্রায় সময় তাদের আক্রান্ত হতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।