জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের লালপুরে মোহরকয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয় স্বামী আব্দুল জব্বার। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জব্বার হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, গত ১৭ জুলাই উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের বাড়ির পাশে পুকুর থেকে স্মৃতি খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্মৃতির পিতা সেলিম আলী বাদী হয়ে মোহরকয়া গ্রামের ইসাহাক প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল জব্বারকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে লালপুর থানার পুরাতন ঈশ্বরদী এলাকা থেকে গত ২১ জুলাই আব্দুল জব্বারকে গ্রেফতার করে লালপুর থানা পুলিশ।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জব্বার স্বীকার করে পারিবারিক কলহের কারণে সে স্মৃতিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খাবার স্যালাইনের সাথে ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট গুড়ো করে মিশিয়ে দেয়। এরপর স্মৃতি ঘুমিয়ে পড়লে তার বুকের ওপর পা তুলে দিয়ে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে স্মৃতিকে হত্যা করে লাশ গোপন করার জন্য পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, ডিবির ওসি আনারুল ইসলাম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।