জুমবাংলা ডেস্ক : খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে এখন বসেছে কাঁচামাল (শাক-সবজি ইত্যাদি), মাছ-মাংস এবং ফলের দোকান।
করোনায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে খুলনার বড় বাজারের একাংশ এখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফলে সার্কিট হাউজ মাঠের সেই চিরচেনা রূপ এখন পাল্টে গেছে।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে বসতে শুরু করে কাঁচা তরি-তরকারির দোকান। দুপুরের মধ্যেই পুরো মাঠ জমে ওঠে বাজারের চরিত্রে।
মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা মালামালের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কাঁচাবাজারে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দোকান বসেছে এবং ক্রেতাগণ নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করছেন। তবে, প্রথমদিন হওয়ায় বাজারে ক্রেতা উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল।
খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানান্তর কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজার স্থানান্তর কার্যক্রম তদারকি করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরাপদ সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব ফলপ্রসূভাবে কার্যকর করার জন্য নগরীর ‘বয়রা বাজার’ ও ‘বড় বাজার’র কাঁচামাল (শাক-সবজি ইত্যাদি), মাছ-মাংস এবং ফলের দোকানের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া, শুক্রবার বয়রা বাজারের কাঁচামাল (শাক-সবজি ইত্যাদি), মাছ-মাংস ও ফলের দোকান হাজী ফয়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জনসাধারণকে নতুন নির্ধারিত স্থানসমূহ থেকে বাজার করার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।