Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home পাশাপাশি সাজানো তিনটি শিশুর তাজা কবর, এক বিষাদের গল্প
    জাতীয় ডেস্ক
    জাতীয়

    পাশাপাশি সাজানো তিনটি শিশুর তাজা কবর, এক বিষাদের গল্প

    জাতীয় ডেস্কSoumo SakibJuly 23, 20253 Mins Read
    Advertisement

    রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে। সেখানে লেখা আছে, ‘এক বন্ধুর ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ যোগাযোগ করি পোস্টদাতা শামসুজ্জামান সোহাগের সঙ্গে। আজকের পত্রিকার করা সরেজমিন প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত-

    পাশাপাশি সাজানো তিনটিতিনি জানান, বন্ধু ইমরান হোসেন কুতুবের একই পরিবারের তিনটি ফুল ঝরে গেছে। সোহাগ যোগাযোগ করিয়ে দেন উত্তরার আরেক বন্ধু জনির সঙ্গে। গতকাল জনির কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি উত্তরার দিয়াবাড়ির উদ্দেশে।

    সময় দুপুর গড়িয়ে গেছে। আমি তখনো দিয়াবাড়ির উত্তর পাশে তুরাগ থানার তারারটেক রোডে। এবড়োখেবড়ো ও খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা ধরে সামনে এগিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করি, কুতুবদের বাড়ি কোথায়? এক কিশোর এগিয়ে আসে। বলে, মারা গেছে যে বাড়ির? বলি, হ্যাঁ। সে আঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে বলে, রোডের শেষ প্রান্তে তারারটেক জামে মসজিদ। তার সামনেই ওই বাড়ি।

    ওই কিশোরের দেখিয়ে দেওয়া পথ ধরে তারারটেক জামে মসজিদে পৌঁছে দেখি সামনে ছোট পারিবারিক কবরস্থান। সেখানে পাশাপাশি সাজানো তিনটি শিশুর তাজা কবর। দেখে মনে হলো, মাত্রই দাফন শেষ হয়েছে। কবরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এক ব্যক্তি। মুখটা বিষণ্ন তাঁর। সাংবাদিক পরিচয় দিতেই জানালেন কুতুবের চাচাতো ভাই তিনি, নাম মো. রাসেল। কথায় কথায় হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন রাসেল। বললেন, ‘এই দেখেন। জোহরের নামাজ শেষে দাফন দিয়েছি। আমার চোখের সামনেই তিনজন একসঙ্গে খেলাধুলা করত। আমি কয়েক দিন আগে বলেছি, তোদের একটা মাঠ কইরা দিতাছি। আজ তারা নেই। সব শেষ হইয়া গেল।’

       

    মসজিদের পাশে যে বাড়ি, সেখান থেকেও কান্নার শব্দ আসছিল তখন। নিহতদের পরিবারের কেউ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। রাসেলের কাছ থেকেই জানতে হলো সব। তিনি জানালেন, মাইলস্টোনে এই পরিবারের যে তিন শিশু মারা গেছে, তাদের মধ্যে আশিকুর রহমান উমাইর কুতুবের ছেলে। ওই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত সে। একই শ্রেণিতে পড়ত কুতুবের চাচা মো. সেলিমের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম আরিয়ান। আর কুতুবের ফুপাতো ভাই মো. শাহীন সরকারের ছেলে মো. বাপ্পি সরকার পড়ত তৃতীয় শ্রেণিতে।

    বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিভীষিকাময় পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে রাসেল বলেন, ‘আমরা বাড়ির সামনে ছিলাম। হঠাৎ শুনি বিকট আওয়াজ। দৌড়ায়ে বের হইয়া যাই। গিয়ে দেখি উমাইর আর বাপ্পি স্কুলের পাশেই মাঠে পড়ে আছে। সেনাবাহিনী নিয়ে যাবে। আমার এক চাচাতো ভাইকে দিয়ে দিই তাদের সঙ্গে। আমি পরে একটা বাইক (মোটরসাইকেল) নিয়ে হাসপাতালে যাই। প্রথমে লুভানা হসপিটালে নেয়। পরে সেখান থেকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয় বাচ্চা দুটোকে। ইউনাইটেড হাসপাতালেই মারা যায় উমাইর। আর বাপ্পিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বার্ন হাসপাতালে (জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট)।’

    রাসেল একটু থেমে আবার বলেন, ‘এরপরে আরেক চাচাতো ভাই ফোন দিয়ে বলে আমাদের সেলিম চাচার ছেলে আরিয়ানও পুড়ে গেছে। ওকেও নিয়ে যাই বার্ন হাসপাতালে। পরে বার্ন হাসপাতালেও কাউরে বাঁচাইতে পারি নাই, ভাই।’

    রাসেলের চোখ বেয়ে জল ঝরে। একটু পরপর এলাকার লোকজন আসছে। কবর জিয়ারত করছে। রাসেলের কাছ থেকে শুনছে প্রিয়জন হারানোর ঘটনা। রাসেল জানান, এই রোডের দুই ধারে তাঁদের আত্মীয়স্বজনেরা থাকেন। তাঁরা এখানকারই স্থানীয় মানুষ। এই রোডের আরও দুটি মেয়ে মারা গেছে। এই এলাকার মোট পাঁচটি শিশু মারা গেছে।

    বিকেলের রোদ ততক্ষণে মিহি হয়ে আসে। গাছের পাতার ফাঁক গলে সেই রোদ এসে পড়েছে কবরের গায়। ইমরান হোসেন কুতুব এগিয়ে আসেন সন্তানের কবরের কাছে। বসে পড়েন। আলতো করে হাত বুলিয়ে দেন কবরের গায়। হাত বোলানো নয়, আদর করে দেন। এই আদর তিনি করেছেন গত কয়েকটি বছর। বিহ্বল হয়ে তাকিয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। তারপর ডুকরে কেঁদে ওঠেন। পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ সবচেয়ে ভারী। এই ভার তিনি সইবেন কেমন করে?

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় Bangladesh Tragedy child death Fresh Graves Mourning Family Tragic Story এক একসাথে কবর কবর গল্প ট্র্যাজেডি: তাজা তাজা কবর তিনটি পাশাপাশি বিষাদের শিশুর শিশুর মৃত্যু সাজানো হৃদয়বিদারক ঘটনা
    Related Posts
    Taka

    অলস বসে থেকেও যেভাবে আয় করতে পারেন

    November 6, 2025
    সঞ্চয়পত্র

    অবসরের পর মাসে মাসে আয় হবে, জানুন পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুবিধা

    November 6, 2025
    Police

    ডিএমপিতে ৮ সহকারী পুলিশ কমিশনারের পদায়ন

    November 6, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Taka

    অলস বসে থেকেও যেভাবে আয় করতে পারেন

    সঞ্চয়পত্র

    অবসরের পর মাসে মাসে আয় হবে, জানুন পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুবিধা

    Police

    ডিএমপিতে ৮ সহকারী পুলিশ কমিশনারের পদায়ন

    Adani

    বাংলাদেশের সঙ্গে পাওনা নিয়ে আদানির বিরোধ, ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ!

    Army

    যেকোনো সময়ের তুলনায় সেনাবাহিনী আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ : সেনাসদর

    ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন

    ভোটার ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন বন্ধ হয়ে যাবে কবে থেকে?

    সরকারি চাকরিজীবী

    সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর

    নতুন পে স্কেল

    কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে নতুন পে স্কেল, যা জানা গেল

    Travel

    এবার যে দুই দেশে যেতে ভিসা লাগবে না বাংলাদেশিদের

    Atorni

    পদত্যাগ করে নির্বাচন করার ঘোষণা অ্যাটর্নি জেনারেলের

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.