জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের কালীগঞ্জে পায়ুপথে পানীয় জাতীয় বোতল ঢুকিয়ে আবদুল কুদ্দুস নামে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ঘোনাপাড়া গ্রামে মৃত আ. জাব্বারের বাড়িতে।
নিহত রিকশাচালক পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকালে নামাজে জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে লাশ দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে রাত ১২টার দিকে কান্না-কাটি করতে করতে বাড়িতে এসে বলেন আমাকে বাঁচাও আমি মরে যাব, দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও। পরে তাকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেকে রেফার্ড করেন।
ঢাকা যাওয়ার পথে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার অপারেশন করে প্লাস্টিকের বোতল বের করেন। অপারেশন শেষে রোববার বিকালে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়ি আসার পথে রাস্তায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রহস্যজনক কারণে পরিবারের লোকজন পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে রোববার এশার বাদ ওই রিকশা চালকের জানাজা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি কালীগঞ্জ থানার ওসিকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করে রোববার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের ছেলে মো. মোক্তার হোসেন বলেন, কে বা কারা আমার বাবার পায়ুপথে প্লাস্টিকের বোতল ঢুকিয়েছে, বাবা এই ব্যাপারে আমাদের কিছু বলে যায়নি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের বিচার চাই।
রিকশা চালকের পায়ুপথে প্লাস্টিকের বোতল ঢুকানোর সত্যতা স্বীকার করে কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, এটা রহস্যজনক মৃত্যু। মৃত্যুর অন্তরালে প্রকৃত ঘটনাটি কী ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনার উদঘাটন হবে। তবে এখনো নিহতের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। জিডি মূলে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।