জুমবাংলা ডেস্ক : বর্তমান এই সময়ে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে প্রকট আওয়াজে সাউন্ডবক্স বাজানো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। দিন দিন এর প্রবণতা বেড়ে চলছে।কারো মতে, যারা প্রকট আওয়াজে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে থাকেন, তারা বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক মনে করেন। তবে জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ এবার এ বিষয়ে কথা বললেন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৭টায় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এ ব্যাপারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানেই প্রকট আওয়াজে সাউন্ডবক্স বাজানো নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘ঈদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রকট আওয়াজে সাউন্ডবক্স বাজানোর প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজ যে কিশোর-তরুণরা এভাবে প্রতিবেশীর শান্তি বিনষ্ট করাকে স্বাভাবিক মনে করছে, বড় হয়ে এদের অনেকেই হয়তো খুনি-সন্ত্রাসী-ধর্ষকে রূপান্তরিত হবে।’
এছাড়া তার পোস্ট করা ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ঈদের দিন নামাজ পড়িয়ে গ্রামে গিয়েছি। খেয়াল করেছি, পথে না হলেও অন্তত বিশ-ত্রিশটি জায়গায় পিকআপ ভর্তি কিছু ছেলে গান বাজনায় নেচে-গেয়ে উল্লাস করছে, এভাবে ঈদ উদযাপন করছে। এই সংস্কৃতি ৭-৮ বছর আগেও আমাদের দেশে ছিল না। এটি ধীরে ধীরে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এতে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। কোথায় যেন এক মুয়াজ্জিন নিষেধ করায় তাকে আঘাত করা হয়েছে এবং পরে তিনি মারা গেছেন।
জনপ্রিয় এই ইসলামী আলোচক আরো বলেন, যেসব ছেলেরা এই উশৃঙ্খলতা করছে, তারা আমাদেরই ছেলে, আমাদেরই ছোট ভাই। এরা এটাকে ঈদ উদযাপন মনে করছেন। কিন্তু তাদের যদি আমরা থামাতে না পারি তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? একপর্যায়ে এসব ধীরে ধীরে বাড়বে। কারণ পাগলামি এবং মাতলামির বয়সই তো এটা। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে যদি এটা নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, একপর্যায়ে এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
আহমাদুল্লাহ জানান, এটা প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় হবে। আমরা সবাই অতিষ্ঠ হবো। বিকট আওয়াজে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, শব্দ সন্ত্রাস সৃষ্টি করা, যিনি গান শুনতে চায় না তাকেও শুনতে বাধ্য করা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, আবার যারা আমাদের পরিবারের প্রধান আছে, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।