জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া মাস্ক, স্যানিটাইজার, পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট পিপিইর চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই বাড়তি মুনাফা করছেন। যেনতেন উপকরণে পিপিই তৈরি ও বিক্রিরও ধুম পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে প্রচারণা চলছে বিক্রির। একেকটার দাম হাঁকছেন ৬শ থেকে ১২/১৫শ টাকা পর্যন্ত। এমন অবস্থায় ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত পিপিই সরবরাহ করছেন নারী উদ্যোক্তা তানিয়া তাছলিমা।
করোনা মোকাবিলায় যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেসব ডাক্তার ও চিকিৎসা কর্মী, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবীদের পিপিই সরবরাহে নিজের কারখানায় উৎপাদন শুরু করেছেন এই উদ্যোক্তা।
তানিয়া জানান, ইতোমধ্যে সাত হাজার পিপিই বানানো হয়েছে। কিছু পিপিই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে পুলিশ, ডাক্তার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মধ্যে।
তিনি বলেন, যাদের পিপিই ক্রয় করার সামর্থ্য নেই, অথবা এটা কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়; শুধু মাত্র তাদেরই বিনামূল্যে পিপিই দেয়া হয়েছে। তবে ডাক্তার, পুলিশ, সেনাবাহিনী, জাতিসংঘ, আইসিডিডিআর’বি, সরকারের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ নানা সেক্টরের দুর্যোগকালীন সম্মুখযোদ্ধারাদের কাছে স্বল্পমূল্যে পিপিই দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার কারখানায় তৈরি হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত ‘ডাবল কোটেড ২১০ টাফেটা’ কাপড়ের পিপিই (কভারঅল এবং শু কাভার)। এর জন্য আমরা কোন লাভ করছি না, স্রেফ উৎপাদন খরচ নিচ্ছি। আমার কারখানার কর্মীরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তারা কারখানা থেকে বের হচ্ছেন না। বাইরের কেউ কারখানায় ঢুকছেনও না। মেনে চলা হচ্ছে সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি।
তিনি আরো যোগ করেন, করোনাযোদ্ধাদের পাশে আছি। থাকবো। পিপিই ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক নামে ফেসবুক গ্রুপে তার এ উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তার থেকে পিপিই কিনছেন। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



