জুমবাংলা ডেস্ক : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুদকের মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। রবিবার (৮ অক্টোবর) এ মামলার রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বুধবার (৪ অক্টোবর) এই আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পি কে হালদারসহ অন্য সবার সর্বোচ্চ ২২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়ার জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
২০২১ সালের নভেম্বরে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে পিকে হালদারসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চার্জশিটে পি কে হালদারসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে।
প্রশান্ত কুমার হালদার ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- প্রশান্ত কুমার হালদারের মা লিলাবতী হালদার, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পলাতক অবস্থায় গ্রেপ্তার হন প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। ২০২২ সালের ১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের। পি কে হালদা কলকাতায় কারাগারে রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।