জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির রুমিন ফারহানার এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পুঁজিবাজারে উত্থান–পতন স্বাভাবিক ঘটনা। বিদ্যমান বিও অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে সব বিনিয়োগকারী একইসঙ্গে লেনদেন করেন না। কিছু সংখ্যক বিনিয়োগকারী দীর্ঘ বিরতির পর বিনিয়োগ করে থাকেন।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির ফিরোজ রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে অর্থপাচার রোধে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়েও আনা হয়েছে। বর্তমানে অর্থপাচার বিষয়ক ৪০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন।’
ফিরোজ রশীদ তার প্রশ্নে কর প্রদানে জনগণের হয়রানির কথা তোলেন। তিনি বলেন, ‘কর দিতে মানুষ আগ্রহী। কিন্তু, হয়রানির ভয়ে কর দিতে চান না। কেউ কর দিলে ৪-৫ বছর পর সেটাকে অডিটে ফেলে দিয়ে ওই ব্যক্তিতে চিঠি দিয়ে সব ডকুমেন্ট চাওয়া হয়। চার-পাঁচ বছর আগের ডকুমেন্ট তো অনেকের কাছে থাকে না। কর বিভাগে ভৌতিক সব ঘটনা দেখা যায়।’ ফিরোজ রশীদ অডিট ব্যবস্থার নামে হয়রানি বন্ধ করে কর প্রদানের বিষয়টি সহজ করার বিষয়ে মন্ত্রীর পদক্ষেপ জানতে চান।
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আয়কর বিভাগের দায়িত্ব জনগণকে সেবা দেওয়া। কিন্তু, এটা বাস্তব যে আয়কর বিভাগকে আমরা সেবা খাতে পরিণত করতে পারিনি। কেউ কর দেয়, কেউ দেয় না। যাদের ভয়ে মানুষ কর দিতে চান না তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই অর্থবছরের মধ্যেই কর আদায়ে আমরা শতভাগ অটোমেশনে যাবো। আমরা অটোমেশনে গেলে এই সমস্যা থাকবে না। হয়রানি থাকবে না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।