জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লার দেবীদ্বারের একটি মৎস খামারে বিষক্রিয়ায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। প্রায় আড়াই একর আয়তনের এ খামার থেকে মরা মাছগুলো বস্তা ভরে স্থানীয়দের নিতে দেখা যায়।
বুধবার (১২ জুন) ভোর ৫টায় দেবীদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন মফিজ উদ্দিন সজলের মৎস খামারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী মৎস খামারি মো. মফিজ উদ্দিন সজল (৪০)।
মফিজ উদ্দিন জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে ২.৪০ একরের একটি পুকুরে মাছ চাষ করছি। একাধিকবার আমার মৎস খামারে অজ্ঞাতরা বিষ ঢেলে ক্ষতি করে। ওই ঘটনায় থানায় সাধার ডায়েরি করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। এরইমধ্যে গ্যাসফিল্ড ও মৎস খামারের পাশে একটি গভীর নলকূপের মটারের ঘরে ও আমার মৎস খামারের বাঁধের ওপর প্রায়ই একদল নেশাখোর আড্ডায় বসে।
আমি তাদের বাধা দিলে তারা আমার মাছের খামার ধ্বংস করার হুমকি দেয়। হুমকির বিষয়টি স্থানীয়দের জানিয়েও কোনো সমাধান পাইনি।
তিনি আরো জানান, গতকাল সোমবার আমি রাত জেগে মৎস খামার রক্ষা এবং নেশাখোরাদের পাহারা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। এরপর রাতে ঘুমিয়েছিলাম।
আজ সকালে আমার স্ত্রী খাদিজা আক্তার খামারে গিয়ে দেখেন, সারা পুকুরে মরা মাছ ভেসে উঠছে। আর এলাকার লোকজন বস্তায় বস্তায় মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেখে যান। এ ঘটনায় আমার খামারের প্রায় ২৫ লাখ টাকার বিভিন্নজাতের মাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি।
অভিযুক্ত সুমন মূন্সী (৩৫) গোপালনগর গ্যাস ফিল্ডের নিরাপত্তা কর্মী এবং একই গ্রামের ডা. নজরুল ইসরামের পুত্র।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নয়ন মিয়া জানান, গ্যাস ফিল্ডের এক নিরাপত্তাকর্মীর নেতৃত্বে ৬-৭ জন মো. মফিজ উদ্দিন সজল নামে এক খামারির খামারে বিষ ঢেলে মাছ নিধনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।