জুমবাংলা ডেস্ক : ফুটফুটে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছে আমেনা নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী। তবে সন্তানের জন্ম দিলেও সন্তানের বাবার পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
মঙ্গলবার সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম হয়। দুপুরে খবর পেয়ে অসুস্থ মা ও শিশুকে বরগুনা সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে দেখতে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস।
এ সময় শিশুটিকে বস্ত্র ও তার মাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফল উপহার দেওয়ার পাশাপাশি তাদের চিকিৎসা এবং পরবর্তীতে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার ক্রোক এলাকায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী আমেনা (১৯)। মঙ্গলবার রাতে প্রসব বেদনা দেখা দিলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই নিজ বাড়িতে একটি ফুটফুটে ছেলেসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সন্তানটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় নবজাতক সন্তান ও তার মাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে স্থানীয়রা ভর্তি করেন।
বরগুনা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, মা ও সন্তানের চিকিৎসা চলছে। মায়ের অবস্থা আগের থেকে অনেকটা ভালো। আমরা আশা করি দুই-একদিনের মধ্যে মা ও সন্তান পুরোপুরি সুস্থ্ হয়ে যাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস বলেন, খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে হাসপাতালে মা ও সন্তানের জন্য খাবার ও পোশাক উপহার নিয়ে যাই। পাশাপাশি চিকিৎসা ও পরবর্তীতে তাদের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। বসন্তের প্রথম দিনে জন্ম হওয়ায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান নবজাতক শিশুর নাম দিয়েছেন রক্তিম।
হাসপাতালে আমেনার সঙ্গে থাকা নানি মমতাজ বেগম বলেন, আমেনা ও তার মা হোসনে আরা বেগম শুধু দুজন বাসায় থাকে। হোসনে আরা দুর্ঘটনায় পা ভেঙে বাসায় পড়ে আছে। বাবা অন্যত্র বিয়ে করে ছেড়ে চলে গেছে। সকালে এমন খবর পেয়ে হাসপাতালে নাতির কাছে ছুটে এসেছি। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় কাউকে তেমন কিছু বলতে পারেনি আমেনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।