জুমবাংলা ডেস্ক : যশোর মণিরামপুর উপজেলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) লাথিতে কপাল কেটে গেছে চার বছর বয়সী মুজাহিদ রাব্বি নামে এক শিশুর। বাবাকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে সে লাথি খেয়েছে বলে দাবি শিশুর পরিবারের।
তবে পুলিশের দাবি, সালিশে হেরে যাওয়ায় নিজে ছেলেকে মেরে পুলিশের ওপর দায় চাপাচ্ছে শিশুর বাবা আব্দুল খালেক। আব্দুল খালেক চালুয়াহাটি ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউপির রসুলপুরে ঘটনা ঘটে। সেই থেকে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রাব্বির বাবা। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই লিটন।
খালেক বলেন, গ্রামের ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ১২ দশমিক ২৬ শতক জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমি ও ইব্রাহিম দু’জনেই মামলা করেছি। মামলায় হেরে যাবেন বুঝতে পেরে নতুন করে এ ঘটনায় রাজগঞ্জ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন ইব্রাহিম।
গত শনিবার ক্যাম্পের এসআই লিটন পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে সালিশ বসান। আমি বসতে না চাইলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের উপস্থিতিতে তিনি জোর করেন। ওই সালিশে এসআই লিটন আমার ওপর চড়াও হন। আমিও ক্ষিপ্ত হই। একপর্যায়ে দারোগা লিটন পিস্তল বের করে আমাকে হাতকড়া পরাতে যান। তখন আমার চার বছরের ছেলে রাব্বি দারোগার দুই পা জড়িয়ে ধরে। এরপর দারোগা লিটন লাথি মারলে রাব্বির কপাল কেটে যায়। আমি দ্রুত ছেলেকে কেশবপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই।
আব্দুল খালেক বলেন, বিষয়টি কয়েকজন নেতাকে বলেছি। কাজ হয়নি। ভয়ে থানায় অভিযোগ করতে যেতে পারিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই লিটন বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সালিশে ছিলাম। যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি না। এমন কিছু হয়নি।
রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইনসপেক্টর শাহজাহান আহমেদ বলেন, একটা মিথ্যা ছবি ফেসবুকে ছেড়েছে। সালিশে হেরে গিয়ে জেতার জন্য আব্দুল খালেক নিজে ছেলেকে মেরে পুলিশের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন এ ইন্সপেক্টর।
এ ব্যাপারে চালুয়াহাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদকে ফোন দিলেও তিনি ফোনকল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সূত্র : সময় নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।