জুমবাংলা ডেস্ক: পেশায় গার্মেন্ট কর্মচারী হলেও কখনো পুলিশ কর্মকর্তা, কখনো সামরিক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গত ৯ বছরে ৯টি বিয়ে করেছেন ২৯ বছর বয়সী সুলায়মান। অবশেষে নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে প্রতারক সুলায়মানকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় পাহাড়তলী এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রশাসনের লোক পরিচয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অল্প বয়সী মেয়েদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তাদের বিয়ে করতেন সোলায়মান। গত ৯ বছরে বিয়ে করেছেন মোট ৯টি। বিয়ের সময় নিতেন যৌতুক। বিয়ের পরে স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনকে চাকরি দেওয়ার নামেও হাতিয়ে নিতেন টাকা। আবার স্ত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকেও ঋণ নিয়ে সটকে পড়তেন প্রতারক সোলায়মান।
এভাবেই চলছিল তার দিনকাল। কিন্তু বিধিবাম, নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেনের কাছে সুলায়মানের বিরুদ্ধে এক স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগ তদন্ত করে তার এসব অপকর্ম সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ।
তিনি বলেন, সুলায়মানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করতে গিয়ে তার নানা অপকর্মের বিষয়ে জানতে পারি আমরা। সুলায়মান পেশায় গার্মেন্ট শ্রমিক হলেও নিজেকে পরিচয় দিতেন পুলিশ কর্মকর্তা, কখনও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে। অষ্টম স্ত্রী রাহেলার কাছ থেকে তার ভাই ও বোনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা এবং তার নামে এনজিও থেকে ঋণ তুলে হাতিয়ে নিয়েছেন এক লাখ টাকা। নবম স্ত্রী রহিমার কাছ থেকে যৌতুক নিয়েছেন দুই লাখ টাকা।
এদিকে গ্রেফতারের পর প্রতারক সুলায়মানের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় নবম স্ত্রী রহিমার মা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাহাড়তলী থানার এসআই মনির জানান, প্রতারক সোলায়মানের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রূপজন গ্রামে। তার পিতার নাম মো. শাহজাহান। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।