নিজস্ব প্রতিবেদক : কখনও তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আবার কখনও পুলিশ কর্মকর্তা। রোগী দেখার জন্য রয়েছে তার নিজস্ব চেম্বার আর অপরাধী ধরার জন্য ডিবি পুলিশ সেজে ছুটেন বিভিন্ন এলাকায়। তাতেও তার মন ভরেনি। সখ হয়েছিল প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাজার। বানিয়েছিলেন ভিজিটিং কার্ডও। আর সেই কার্ড ব্যবহার করতে গিয়ে অবশেষে পুলিশের জালে আটকা পড়েছেন প্রতারক মো. রফিকুল হক মিঞা (২৮)।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে মিরপুর মডেল থানার ২ নং সেকশনে ডিএমপি’র মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাসুক মিয়ার অফিসে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার রফিক মিরপুর মধ্য পীরেরবাগ এলাকার মো. শামছুল হক মিঞার ছেলে।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, গ্রেপ্তার রফিক একজন প্রতারক। ভিজিটিং কার্ডে নিজেকে পরিচয় দেন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে। ৩৫ তম বিসিএস পাশ করে তিনি বর্তমানে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে উপ পরিচালক পদে আছেন বলে দাবি করেন। এই পরিচয়ে তিনি ভিজিটিং কার্ডও ছাপান। থানায় কোন প্রয়োজন হলে তার ভিজিটিং কার্ড দেখালে ‘কাজ হয়ে যাবে’ বলে সবাইকে জানান।
প্রতারক রফিকুলের এমন কথা বিশ্বাস করেই বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে সেই ভিজিটিং কার্ড নিয়ে মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাসুক মিয়ার কাছে যান আনু মিয়া। কার্ড দেখে সন্দেহ হলে রফিকুলকে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন এডিসি। এডিসি’র অফিসে আসার পর তার পরিচয়, কর্মস্থলসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রফিকুল নামে এক ভুয়া সিনিয়র সহকারী সচিবকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে এডিসি মাসুক মিয়া জুমবাংলাকে বলেন, সন্দেহ হলে ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখিত অফিসে যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকে বলা হয় রফিকুল নামে তাদের কোনও কর্মকর্তা নেই। মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে রফিকুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সরকারি প্রজ্ঞাপন এডিট করে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।