মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার ভেতরে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্যদের হেনস্তার ঘটনায় বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের সবাইকে মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও দলের প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ঘটনার বর্ণনায় নাম থাকলেও আকবর হোসেন বাবলুকে আসামি করা হয়নি।
নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন— ঘিওর সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর কাওসার, বিএনপি নেতা খন্দকার বিল্টু, খন্দকার সেলিম জিএস, উজ্জল হোসেন, হারেজ মিয়া, রফিকুল ইসলাম পিন্টু, রাজু খন্দকার, শহিদুল ইসলাম চান্দু ও শফিউল আলম বিল্টু। তারা সবাই জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু একটি মাইক্রোবাস ও ১০-১২টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ঘিওর থানার ভেতরে প্রবেশ করেন। তাদের বহরের মোটরসাইকেল থানার ভেতরে রাখতে চাইলে দায়িত্বরত নারী কনস্টেবল আন্না আক্তার বাধা দেন। এসময় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। পরে ডিউটি অফিসার এএসআই রফিকুল ইসলাম কারণ জানতে চাইলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয় এবং কিল-ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে থানার পাশে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে আসামিরা হুমকি-ধামকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, “মারধর ও হুমকির বিষয়ে থানায় মামলা করেছি। একজন পুলিশের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি কষ্টকর ও লজ্জাজনক।”
তবে খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার সামনে আওয়ামী লীগের দোসর পুলিশ নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের কোনো গালাগাল বা গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।”
ঘিওর থানার ওসি কহিনুর ইসলাম বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।