সবারই জানা ২৪ ঘণ্টায় একদিন। গোটা দিনকে ভাগ করা হয়েছে ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ডে। একটি ভোর থেকে অন্য আরেকটি ভোরের দূরত্ব হিসেবে মোটাদাগে ২৪ ঘণ্টা সময়কে চিহ্নিত করা হয়। আর এই সময়ের পরিক্রমণটি নির্ধারণ করা হয়েছে নিজ অক্ষের ওপর পৃথিবীর আবর্তনের বিষয়টি। তবে সেই পৃথিবীর আবর্তনের সময় নিয়ে শুরু হয়েছে গণ্ডগোল। কারণ—জলবায়ু পরিবর্তন।
পাবলিশ হওয়া এক গবেষণার জার্নালে এ বিষয়টি বলা হয়েছে যে, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পৃথিবীর গতি পরিবর্তিত হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে। এজন্য পৃথিবী অন্য সময়ের তুলনায় কম গতিতে ঘুরছে।
বিশ্বের টাইমকিপারদের ২০২৯ সালের মধ্যে আমাদের ঘড়ি থেকে এক সেকেন্ডে বিয়োগ করার কথা বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছে বিজ্ঞানীরা। এটিকে নেগেটিভ লিপ সেকেন্ডে বলা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব জলভাগের উপর গিয়ে পড়ছে।
নিজ অক্ষের চেয়ে পৃথিবীর ঘূর্ণন স্বাভাবিক এর থেকে অনেক বেশি। তবে চারদিকের আবর্তন কিছুটা ধীরগতিত হচ্ছে। এত বদলে যেতে পারে ঘড়ির সময়। বৈশিষ্ট্যের কারণে গ্রীনল্যান্ড ও এন্টারটিকার বরফ গলছে।
৩০ বছর আগের সাথে তুলনা করলে বরফ বলছে পাঁচ গুণ বেশি হরে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীতে ঘূর্ণনে যতটা পরিবর্তন এসেছে এজন্য ঘড়ি থেকে এক সেকেন্ড সময় বিয়োগ করতে হতে পারে। তবে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কের টাইমিং এর জন্য এটি বেশ সমস্যা তৈরি করবে।
গ্লোবাল টাইম পৃথিবীর ঘূর্ণন এর উপর নির্ভর করে চলে। পৃথিবীর ঘূর্ণন সবসময় এক থাকে না। এ কারণে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য সমান থাকে না। ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো এক সেকেন্ড কমানোর কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।