জুমবাংলা ডেস্ক : বেড়েই চলছে কাঁচা-বাজারসহ নিত্যপণ্যের সব দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে এক সপ্তাহেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। রমজান মাস আসতে প্রায় দেড়মাস বাকি। তার আগেই পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র।
খুচরা বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে। বরাবরের মতোই এ দাম বাড়ার জন্য একে অপরকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতিকেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা ছিল। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক দ্রব্যমূল্য তালিকা অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি দরে।
রাজধানীর কাওরান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সোনাই আলী বলেন, পাইকারি বাজারে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। যে কারণে বেশি দামে এনে বাড়তি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। এ বাজারের ক্রেতা শাকিল বলেন, একে একে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। শুধু পেঁয়াজ বাকি ছিল, রমজানের আগে সেটিরও দাম বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি আড়ত শ্যাম বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শংকর চন্দ্র ঘোষ বলেন, কয়েকদিন আগে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে এখন দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে, ফলে দাম বেড়েছে।
চট্টগ্রাম : নগরীতে পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজিতে মানভেদে ১২ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ চারদিন আগে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ২৮ টাকা থেকে ৩০ টাকা, যা এখন ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে। চারদিন আগে পাইকারি বাজারে ভারতীয় ভালোমানের পেঁয়াজ দাম ছিল ৩৩ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা। আর খুচরা বাজারে ভালোমানের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়। গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩০ টাকার মতো।
পাইকারি বাজারে এখন মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দামে। আর খুচরা পর্যায়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বৃহত্তর পাইকারি মার্কেট হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস যুগান্তরকে বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতিকেজিতে প্রায় ১৫ টাকার বেশি বেড়েছে। ভারতীয় ভালোমানের পেঁয়াজের দামও কেজিপ্রতি ১০ টাকার বেশি বেড়েছে। ভারতীয় রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী ও মজুদদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে পেঁয়াজের তেমন সংকট নেই। বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জে ৩-৪ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে। মিয়ানমার থেকে কয়েক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে।
হাকিমপুর (দিনাজপুর) : উপজেলার হিলি বাজারে তিন দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি মানভেদে ১০ টাকা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ কিনতে আসা রায়হান কবির জানান, প্রায়ই নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ছে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তিনি নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি জানান। হিলি বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল মাহমুদ জানান, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ও ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম। সেই জন্য দাম বেড়েছে। সরবরাহ বৃদ্ধি হলে আবারও দাম কমতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।