লাইফস্টাইল ডেস্ক: বেশিরভাগ রান্নাতেই পেঁয়াজ ব্যবহার করি আমরা। রোজকার রান্নার অন্যতম উপকরণ বলা যেতে পারে। পেঁয়াজ কাটার সময় কম-বেশি প্রত্যেকের চোখ থেকেই জল বেরোয়, সে আপনি নিজে পেঁয়াজ কাটুন বা আপনার সামনে কেউ কাটুক।
পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে জল আসবে না, এমনটা হতেই পারে না। চোখ এমনই জ্বালা করতে থাকে যে, চোখ খোলা দুষ্কর হয়ে পড়ে। একে আপনি পেঁয়াজের চরিত্রও বলতে পারেন।
পেঁয়াজ কাটার সময়ে তা থেকে প্রোপানেথিওল সালফার অক্সাইড নামে এক ধরনের গ্যাস বেরোয়। পেঁয়াজের বিভিন্ন এনজাইমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যা তৈরি করে সালফারের এক ধরনের গ্যাস। এই গ্যাস চোখের সংস্পর্শে এসে এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি করে, যার ফলে চোখ থেকে জল বের হয়।
যদি পেঁয়াজ কাটার সময় আপনার চোখ থেকেও জল বেরোয়, তবে এটি এড়ানোর কিছু উপায় রয়েছে। ঘরোয়া কিছু উপায়ে আপনি পেঁয়াজ কাটার সময় চোখের জল আটকাতে পারেন।
তাহলে আসুন জেনে নিই পদ্ধতিগুলি কী কী-
পেঁয়াজ ভিজিয়ে রাখুন
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে, তা পানিতে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পানি থেকে বের করে কাটুন। এতে পেঁয়াজ থেকে প্রায় সবটুকু সালফার যৌগই বেরিয়ে যায়। ফলে আপনার চোখে জল আসবে না।
ফ্রিজে রেখে দিন
কাটার আগে পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ১৫ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর ভাল করে ধুয়ে তা কাটুন বা কাটার আগে পেঁয়াজ নুন-পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর জলে ধুয়ে তা কাটলে আর চোখ জ্বালা করবে না। লবনের পানি পেঁয়াজের সালফার শুষে নেয়।
গরম পানির কাছে পেঁয়াজ কাটুন
গরম পানি পেঁয়াজ থেকে বেরোনো ভাপকে বাধা দেয় এবং একে আপনার চোখ অবধি পৌঁছাতে বাধা দেয়। যাতে চোখ জ্বলে না বা জল আসে না। একটি পাত্রে গরম পানি রাখুন এবং তার কাছে পেঁয়াজ রেখে কাটুন। এতে চোখ থেকে জল পড়বে না।
চুইংগাম চিবোন
চুইংগাম চিবোনোর কারণে আপনি মুখ দিয়ে শ্বাস নেন। আপনি যখন মুখ দিয়ে শ্বাস নেন, তখন পেঁয়াজ থেকে বেরোনো ভাপ কম মাত্রায় আপনার নাক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এই কারণে চোখ থেকে অশ্রু বেরোয় না।
মোমবাতি জ্বালান
মোমবাতি থেকে নির্গত তাপ অ্যাসিড এনজাইমকে ল্যাকরিমাল গ্রন্থি পর্যন্ত পৌঁছতে বাধা দেয়। যার কারণে চোখ থেকে অশ্রু বের হয় না। পেঁয়াজ কাটার সময় মোমবাতি জ্বালান এবং তার ঠিক পাশেই পেঁয়াজ কাটুন।
তথ্যসূত্র: বোল্ড স্কাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।