লাইফস্টাইল ডেস্ক: দ্রুত চোখ পড়লে সত্যিই চমকে যাবেন! এটা ময়ূর নাকি মাকড়সা? ময়ূরের মতোই রামধনুর একাধিক রং। বিভিন্ন রঙের আভার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে দুর্ধর্ষ মাকড়সার চোখ। মাকড়সা দেখলেই যাঁরা ভয় পান, তাঁদের জন্য এক ঝলকই যথেষ্ট! গল্প নয় বাস্তব… উজ্জ্বল রঙের এমনই মাকড়সা রয়েছে এই দুনিয়ায়। বলা উচিত, ভারতের ভূমিতেই। দক্ষিণের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের জঙ্গলেই দেখা গিয়েছে এই বিশেষ ধরনের পিকক স্পাইডার (Peacock Spider) বা ময়ূর মাকড়সাকে। এই ময়ূর মাকড়সাই একমাত্র মাকড়সা যা এমন নীলাভ রঙে রাঙা। মনভোলানো রং দেখলে মনে হবে যেন তুলি দিয়ে কেউ ময়ূরের পেখম এঁকেছে মাকড়সার উপর। দেখতে অপূর্ব হলেও এই মাকড়সা মোটেই কম বিপজ্জনক নয়। কারণ অবশ্যই ট্যারাউন্টুলা প্রজাতির।
পিকক স্পাইডার কী?
এই ধরনের নীল মাকড়সার বৈজ্ঞানিক নাম Poecilotheria Metallica। শরীরে বিশেষ ধরনের রঞ্জকের উপস্থিতির কারণেই এমন দেখতে হয় এই মাকড়সাগুলি। এখনও পর্যন্ত মোট 48টি পিকক প্রজাতির স্পাইডারের খোঁজ মিলেছে। সর্বাধিক দেখা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।
ভারতে কোথায়?
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের জঙ্গলেও খোঁজ মিলেছে এই বিরল মাকড়সার। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (IUCN) এই ধরনের বিরল মাকড়সাকে বিলুপ্তপ্রায় বলে ঘোষণা করেছে।
রঙিন শুধুই পুরুষ?
হ্যাঁ! রঙের বাহার দেখা যায় শুধুই পুরুষ মাকড়সার ক্ষেত্রে। এর পিছনেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। স্ত্রী মাকড়সার মন জয় করতে রীতিমতো নাচতে হয় পুরুষ পিকক স্পাইডারকে। পেটের রঙিন অংশ ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি করে সঙ্গিনীকে আকর্ষিত করার চেষ্টা করে পুরুষ এই মাকড়সা।
স্ত্রী মাকড়সার মন জয় না করতে পারলে?
আপনার কী মনে হয়? উত্তর ভেবে থাকলে তৈরি থাকুন…। কারণ জবাব এক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত! হ্যাঁ…!
Poecilotheria metallica, also known as the peacock tarantula, is the only species in its genus to be covered in blue hair: it also exhibits an intricate fractal-like pattern on the abdomen [read more: https://t.co/Z4fPcgPzjB] [clip by Daniel Vamu: https://t.co/in7lRiwh4K] pic.twitter.com/wC9IxyPWmn
— Massimo (@Rainmaker1973) August 7, 2022
সঙ্গিনীর মন জয় করতে কার্যত নাচ দেখাল রঙিন পুরুষ মাকড়সা। কিন্তু, তাতে আকর্ষিত হল না স্ত্রী মাকড়সা! এবার? পুরুষ মাকড়সাকে আস্ত খেয়ে ফেলে স্ত্রী মাকড়সা!
ট্যারান্টুলা-তথ্য
প্রায় সব মহাদেশেই ট্যারান্টুলা দেখা যায়। গোটা বিশ্বে প্রায় 1000 প্রজাতির ট্যারান্টুলার অস্তিত্ব রয়েছে। ভারতে এদের অস্তিত্ব প্রথম নজরে আসে 1895 সালে। পশ্চিমবঙ্গেও সাত প্রজাতির ট্যারান্টুলার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, যে কোনও রোমশ মাকড়সাই ট্যারান্টুলা নয়। শরীরে বিশেষ কোনও চিহ্ন বা কামড়ের ধরন দেখেই তা নিশ্চিত করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।